মাগুরা সদর বেরইল পলিতায় ১৫টির স্কুলের মধ্যে ১১টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

0
356

মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়ন দীর্ঘ বছর ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে জেলার মধ্যে অন্যতম স্থান দখল করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষক সংকটে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা ঝুকির মধ্যে পড়েছে। এ ইউনিয়নের ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। এসব স্কুলে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক না থাকায় ঐতিহ্যবাহি এ এলাকাটির শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বসে হয়ে পড়েছে। কোন কোন স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিলেও তারা বিভিন্নভাবে লবিং করে শহরের আশপাশে ডেপুটেশনে চলে যাচ্ছেন। ফলে এ এলাকাগুলিতে শিক্ষক সংকট লেগেই আছে।এ এলাকার বাটাজোড় গ্রামের নৃপেন মন্ডল, দিঘলকান্দি গ্রামে গৌরঙ্গ সিকদার, বেরইল পলিতা গ্রামের হাসানুল রান্না, মিল্টন মিয়া, হেমায়েত বিশ্বাস, ইরাদত খন্দকারসহ একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন- বৃটিশ আমল থেকে মাগুরার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের শিক্ষা দিক্ষায় এতদা লের মধ্যে সুনাম ছিল। এমনকি ১৯০০ সালে এ এলাকায় ছেলে ও মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক পৃথক বালক ও বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। যা সারাদেশের মধ্যে বিরল। এর ফলে এ এলাকাটি শিক্ষায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষা অফিসের কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যক্তি ও রাজনৈতিক প্রভাবে এ এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে চলেছে। এ ইউনিয়নের সবকটি গ্রামেই প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। কিন্তু এসব স্কুলের ১. বেরইল পলিতা বালক সপ্রাবি ২. বেরইল পলিতা বালিক সপ্রাবি ৩. বাটাজোড় সপ্রাবি ৪. ডহর সিংড়া সপ্রাবি ৫. চেংগারডাংগা,সেনেরচর সপ্রাবি ৬. বিজয়খালী সপ্রাবি ৭. রামদেরগাতি,পুটিয়া সপ্রাবি ৮. দীঘল কান্দি সপ্রাবি ৯. বামনডাংগা সপ্রাবি ১০. চাঁদপুর সপ্রাবি ১১. পার পলিতা সপ্রাবি দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। এলাকাবাসি আগামী নিয়োগ থেকে এ এলাকার প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার দাবী জানান।জানতে চাইলে বেরইল মনোয়ারা জামান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান জানান- এলাকার কোন স্কুলেই পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নেই। তার উপর অধিকাংশ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় পুরো এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বসে পড়ছে। আমরা কতিপয় শিক্ষক মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । এ অবস্থায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য। এ প্রসঙ্গে মাগুরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম আজকালের পত্রিকাকে জানান- মাগুরা সদরের ১৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫০টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। বেরইল ইউনিয়ন শহর থেকে দূরবর্তী হওয়ায় এখানকার অবস্থা একটু বেশী খারাপ। সম্প্রতি সময়ে প্রোসাশনের মাধ্যমে কিছু প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ নিয়োগ সম্পন্ন হলে ওই এলাকার সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধান হবে বলে আমরা মনে করি।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here