মাগুরায় শিক্ষককে মারপিটের প্রতিবাদে পিটিআই প্রশিক্ষণার্থীদের মানববন্ধন

0
363

মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরায় ডাচ বাংলা ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট করতে রাজি না হওয়ায় বহিরাগত এক শিক্ষক মাগুরা প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণরত অপর এক শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার শহরের পিটিআইএর দুই শতাধিক প্রশিক্ষণরত শিক্ষক প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন, মিছিলসহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মতিন চাঁদ মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। তিনি ওই বেসরকারি ব্যাংকের কমিশন এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগি শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা জানান, বহিরাগত শিক্ষক আব্দুল মতিন চাঁদ মাগুরা পিটিআই এর শিক্ষকদের ত্রৈ মাসিক ভাতা গ্রহণের জন্য সম্প্রতি একটি বে-সরকারি ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খোলার পরমর্শ দেয়। শিক্ষকরা এই ভাতা ৩ মাস অন্তর সুপারিনটেন্ডেন্টের কাছ থেকে নগদ গ্রহণ করেন । বে-সরকারি ডাচ বাংলা ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খুললে টাকা কেটে নেয়ার নিয়ম থাকায় শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা এ ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার সকালে অভিযুক্ত মহম্মদপুরের ঘুল্লিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মতিন চাঁদ মাগুরা পিটিআই ক্যাম্পাসে ঢুকে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রকাশ্যে মারপিট করে। বিষয়টি শিক্ষকবৃন্দ পিটিআই সুপারকে জানালে তিনি রবিবার বিকালের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সমাধান না হওয়ায় আজ সকালে তারা মানববন্ধন সহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্বারকলিপি দেয়।
এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান বলেন,‘ এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আমাকে দেয়া হয়েছে। আমি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তপুর্বক করনীয় বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছি। শিক্ষক প্রহৃত হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখ জনক।’ প্রসঙ্গত তিনি বলেন, ইতিপুর্বে একজন স্কুল শিক্ষক কর্তৃক প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের একজন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। আমি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতিমধ্যে দু’বার সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা এখনো কোন ব্যবস্থা নেন নি। দ্ররুত ব্যবস্থা গৃহীত হলে এ ধরনের ঘটনার পুনারাবৃত্তির আশঙ্কা থাকে না।
এ বিষয়ে মাগুরা পিটিআই সুপারিনটেন্ডেন্ট বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন,‘ বিষয়টির দ্ররুত মিমাংসার জন্য রবিবার সভা ডেকেছিলাম। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় মিমাংসা করা সম্ভব হয় নি। পরবর্তিতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিগঠন করাহয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মতিন চাঁদ বলেন, ‘আমার সাথে কোন ব্যাংকের সম্পৃক্ততা নেই। কোন কারণ ছাড়াই পিটিআই এর ওই প্রশিক্ষনার্থী আমাকে অভিযুক্ত করায় তার সাথে রবিবার সকালে আমার কিছুটা বাকবিতন্ডা হয়। আমি তাকে কোনরকম মারধর করিনি।’

খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here