স্বপন বিশ্বাস ,মাগুরা প্রতিনিধিঃ বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দেউলি গ্রামের শাহ আলম (২৪)। গুরুতর আহত হয়েছেন শহরের ভায়না দক্ষিণ পাড়া গ্রামের এলাহি শেখ (৩৮) অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে এবং দারিদ্রতা থেকে মুক্তির আশায় এনজিও ও আত্মিয় স্বজন থেকে ধারদেনা করে ২ ছেলে মধ্যেবড় ছেলে শাহ আলমকে ১০ মাস আগে সৌদি পাঠিয়েছিলেন দেউলি গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর সায়েন উদ্দিন মোল্যা। কিন্তু সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল মুহুর্তেই। গত ৪ জুলাই (বুধবার) সৌদি আরবের জেদ্দায় সড়ক দূর্ঘটনায় অন্য ৬ জনের মধ্যে নিহত হন শাহ আলম । বিদেশ যাওয়ার আগে দিনমজুরি করে সংসার চালাতো সে।স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিমুজ্জামান জানান, দরিদ্র দিনমজুর সায়েন উদ্দিন মোল্যার পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করেন । পরিবারের অভাব মেটানোর জন্য ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে শাহ আলমকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১০ মাস প্রবাসে থাকলেও পরিবারের জন্য একটি টাকাও পাঠাতে পারেনি তিনি। সেখানে শাহ আলম নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। শাহ আলমের মৃত্যু সংবাদ গ্রামের বাড়িতে পৌছলে শোকে হতবিহবল হয়ে পড়েছেন পরিবারসহ এলাকার মানুষ। অভাব থেকে মুক্তির আশায় ধারদেনা ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে শাহ আলমকে সৌদি পাঠানো হয়। সেই ছেলেও মারা গেলো। আকাশ নামে শাহ আলমের দুই বছর বয়সে একটি পুত্র সস্তান আছে। পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের লাশ কবে আসবে তা এখনো জানা যায় নি। নিহতের পিতা সায়েন উদ্দিন মোল্যা জানান, অনেক কষ্টে তার ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ছেলে মারা যাওয়ায় আগামী দিনগুলো কি হবে তা জানিনা। এদিকে শহরের ভায়না দক্ষিণপাড়া এলাকার দুদু শেখের সৌদি প্রবাসী ছেলে এলাহী শেখ ওই দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। গত রোজার ৬দিন আগে তিনি সৌদি জান। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গেছে। তার বাড়িতেও সবাই উদ্বেগ নিয়ে এলাহির সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।এ বিষয়ে মাগুরার জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান নিহতের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে কথা বলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে মরদেহ আনার বিষয়ে যথাযথ সহযোগিতা করা হবে। তবে আইনি জটিলতা সম্পন্ন করে লাশ আসতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
খবর ৭১/ইঃ