মাকে কত কষ্ট দিয়েছি ইয়াবা ব্যবসা ছেড়ে নড়াইলের রিপন এখন সাবক্ষণিক চায়ের পাশাপাশি মুদি দোকানি!

0
341

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের সাবেক পুলিশ সুপার বতমানে কেএমপির অতিরিক্ত ডিআইজি সরদার রকিবুল ইসলাম স্যার আমাকে আলোর পথে নিয়ে আসেন । তিনি আমাকে রোগ নিরাময় করে ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি দোকান করে দিয়েছেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে রিপন বড় । বাবা রফিকুল ইসলাম দিনমজুর। বতমানে রিপন ব্যবসার টাকা মায়ের হাতে তুলে দিচ্ছেন। তার ম্ওা দোকানদারি করেন । বাবা-মা,স্ত্রী এবং এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে তার এখন সুখের সংসার । মাদকাসক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,এই নেশা পুরো পরিবারকে শেষ করে দেয় । আমি মাদক ছেড়ে দিয়েছি,সবাই ফিরে আসো ।মায়ের কষ্টের টাকা সরিয়ে নেশা করেছি। আত্মীয়স্বজনের কাছে কত না হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে আমাদের পরিবার। এখন এসব কথা মনে পড়লে ভীষণ কষ্ট লাগে । মরণ নেশা মাদক ছেড়ে এখন চায়ের পাশাপাশি মুদি ব্যবসা করছি। কথা বলে মা-বাবাসহ অন্যের কাছ থেকে ধার করে টাকা নিয়েছি।“মাকে কষ্ট দিয়েছি,মাদক ছেড়ে এখন মুদি ব্যবসা করে ভালো আছি” মাকে কত কষ্ট দিয়েছি। শুধু শুধু মিথ্যা কথা বলে মা-বাবাসহ অন্যের কাছ থেকে ধার করে টাকা নিয়েছি। মায়ের কষ্টের টাকা সরিয়ে নেশা করেছি । আত্মীয়স্বজনের কাছে কত না হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে আমাদের পরিবার। এখন এসব কথা মনে পড়লে ভীষণ কষ্ট লাগে। মরণ নেশা মাদক ছেড়ে এখন চায়ের পাশাপাশি মুদি ব্যবসা করছি। নড়াইল শহরের দক্ষিণ নড়াইলের একসময় এসএসসি পড়ুয়া ছাত্র্ ওয়াজেদুল ইসলাম রিপন (২৮) মাদক ছেড়ে দিয়ে এমনই অভিব্যক্তি ব্যক্ত করলেন । মরণ নেশা মাদক ছেড়ে দিয়ে বতমানে সুস্থ্য জীবনযাপন করছেন রিপন । শহরের সাবেক জমিদার বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে একটি দোকানে প্রতিদিন সাবক্ষণিক ব্যবসায় মনোনিবেশ তার । মঙ্গলবার (২২-মে) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি সেই দিনের অন্ধকার জীবনের বণণা করে বলেন,২০০২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর বাসের হেলপার পদে চাকরি করি ।একই পেশায় কমরত কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মিশে নেশার জগতে চলে যাই । গাড়ির মধ্যে বসেই প্রথমে গাজা পরে ইয়াবা ধরি । তখন যশোর বাসটামিনালে এসব প্ওায়া যেত । তখন আমি ধুমপান্ও করতাম না। গাজায় টান দিয়ে মাথায় চক্কর দিয়ে ওঠে । এরপর প্রতিদিনই বন্ধুদের গাজার আড্ডায় যেতাম । একদিন না যেতে পারলে ভালো লাগতো না । গাজার পাশাপাশি ইয়াবা খ্ওায়া ধরলাম । দীঘ ১৬ বছর গাজা-ইয়াবা পান করেছি । নেশার টাকা রেখে যৎ সামান্য টাকা মাকে দিয়েছি । তখন মাকে বলেছি টাকা পাইনি । প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা লাগতো । টাকার জন্য কি-ই না করেছি । এত টাকা কিভাবে জোগাড় হয়েছে তা নিজেই জানিনা-বলেন রিপন । তিনি বলেন,এ জগতে য্ওায়া সহজ,ফিরে আসা কঠিন । মানুষের জীবন কত না আনন্দের।এসবের কিছুই ছিল না তখন । মাকে অত্যাচার করেছি । ভাইবোনদের লজ্জা দিয়েছি । এসব কথা মনে পড়লে এখন কান্না আসে। টাকার জন্য মানুষকে ভয়ভীতি এমনকি মারপিট্ও করেছি। চার-পাচবার জেলও খেটেছি । রিপন (২৮) এ বিষয়ে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, নড়াইলের সাবেক পুলিশ সুপার (বতমানে কেএমপির অতিরিক্ত ডিআইজি) সরদার রকিবুল ইসলাম স্যার আমাকে আলোর পথে নিয়ে আসেন । তিনি আমাকে রোগ নিরাময় করে ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি দোকান করে দিয়েছেন । এক ভাই এক বোনের মধ্যে রিপন বড় । বাবা রফিকুল ইসলাম দিনমজুর । বতমানে রিপন ব্যবসার টাকা মায়ের হাতে তুলে দিচ্ছেন । তার ম্ওা দোকানদারি করেন । বাবা-মা,স্ত্রী এবং এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে তার এখন সুখের সংসার । মাদকাসক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,এই নেশা পুরো পরিবারকে শেষ করে দেয়। আমি মাদক ছেড়ে দিয়েছি,সবাই ফিরে আসো। মায়ের কষ্টের টাকা সরিয়ে নেশা করেছি । আত্মীয়স্বজনের কাছে কত না হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে আমাদের পরিবার । এখন এসব কথা মনে পড়লে ভীষণ কষ্ট লাগে । মরণ নেশা মাদক ছেড়ে এখন চায়ের পাশাপাশি মুদি ব্যবসা করছি । কথা বলে মা-বাবাসহ অন্যের কাছ থেকে ধার করে টাকা নিয়েছি।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here