মসজিদে হামলায় নিন্দা নিয়ে কঠোর সমালোচনায় মোদি

0
265

খবর৭১ঃক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর হামলার ঘটনায় পুরো বিশ্বের নেতারা শোক ও নিন্দা জানিয়েছে। মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়ে ডানপন্থী উগ্র মতাদর্শকে সমূলে শেষ করারও ঘোষণা দিয়েছে অনেকে। তবে এ নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়সারা শোক জানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত সপ্তাহে শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালায় অস্ট্রেলীয় শেতাঙ্গ নাগরিক সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। এতে ৫০ মুসল্লি মারা যান। বিশ্ব শান্তিতে দ্বিতীয়তে থাকা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে মসজিদে হামলার এই ঘটনাকে কালো অধ্যায় হিসেবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন।

বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি ভারতও এই হামলার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ক্রাইস্টচার্চের উপাসনালয়ে ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নরেন্দ্র মোদির নিন্দা জানানোর এই বিবৃতি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলেও মোদির বিবৃতিতে ‘মুসলিম’ কিংবা ‘মসজিদ’ শব্দ দুটির কোনো উল্লেখ নেই। যদিও অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট মসজিদের ভেতরে ঢুকে একেবারে কাছ থেকে আধা সয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে মুসল্লিদের গুলি করে হত্যা করে।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই নিন্দা জানানোর ভাষার সমালোচনা করে বলেন, হামলার নিন্দা জানানোর বিবৃতিতে নয়াদিল্লি ‘মুসলিম’ কিংবা ‘মসজিদ’ শব্দ দুটি ব্যবহারের সাহস দেখাতে পারেনি।

আল্লাহ না করুক, যদি ভারতের কোনো মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে পাকিস্তান ভারতের পাশে দাঁড়াবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত ৫০ জনের মধ্যে দুজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। বুধবার জানাজার পর ক্রাইস্টচার্চে শতাধিক ব্যক্তির নীরব উপস্থিতিতে মেমোরিয়াল পার্কে তাদের কবর দেওয়া হয়।

এরা হলেন, ৪৪ বছর বয়সী খালেদ মোস্তফা ও তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে হামজা।এই শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য অকল্যান্ড থেকে ক্রাইস্টচার্চে আসা গুলশাদ আলি বলেন, লাশ কবরে শুইয়ে রাখা হচ্ছে, আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি, খুব কষ্ট হচ্ছে।

পার্কের ভেতরে একটা এলাকায় ওজু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা পুলিশের রিভলভারের হোলস্টারে ও তাদের অত্যাধুনিক রাইফেলে গোঁজা ছিল ফুল।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here