খবর৭১ঃক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মুসলমানকে হত্যাকারী শ্বেতাঙ্গ জঙ্গির কাছে অস্ত্র বিক্রি করা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কোনো দায় নিতে চাচ্ছে না। এ হামলায় পাঁচ বাংলাদেশিও নিহত হয়েছেন।
অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্টের কাছে অস্ত্র বিক্রির কথা নিশ্চিত করেছেন গান সিটি নামের প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড টিপল।-খবর এএফপির
ক্রাইস্টচার্চে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান ওই সন্ত্রাসীর কাছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রি করেছে। তার কাছে লাইসেন্স ছিল। তার সম্পর্কে অস্বাভাবিক কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তার দোকান থেকে বিক্রীত অস্ত্র কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনো প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকার করেছেন টিপল।
তিনি বলেন, অস্ত্র নিয়ে বিতর্কে জড়ানোর সময় এটি নয়। তবে দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, না, আমি কোনো দায়িত্ব নেব না।
তার মতে, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনের পরীক্ষা করার দায়িত্ব হচ্ছে পুলিশ বিভাগের। এমনকি ভবিষ্যতেও কেউ যদি একই ধরনের লাইসেন্স নিয়ে আসেন, তার কাছেও তিনি অস্ত্র বিক্রি করবেন বলে স্বীকার করেন।
তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে ৪৫ হাজার আবেদন জমা পড়লে তাদের মধ্যে ৯৯.৬ শতাংশকে অনুমতি দেয় পুলিশ। এ বছরই অস্ত্রের লাইসেন্স পায় অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসী টেরেন্ট।
মসজিদে হামলায় ব্যবহৃত সামরিক কায়দার আধা-স্বয়ংক্রিয় (এমএসএসএ) আগ্নেয়াস্ত্র তার দোকান থেকে কেনা হয়নি বলে এ অস্ত্র ব্যবসায়ী জানান।
তিনি বলেন, হামলায় ব্যবহৃত একটি অস্ত্র আমি তার কাছে বিক্রি করিনি। আমি ভিডিও দেখেছি, রাইফেল দেখেছি। তবে আমি জানি এ অস্ত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমি যেটি ধারণা করছি, সে অনুসারে যদি এটির সিরিয়াল নম্বর হয়, তবে গান সিটিসংশ্লিষ্ট দোকান থেকে সেটি সংগ্রহ করা হয়নি।
২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রথম শ্রেণির আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পান ব্রেনটন টেরেন্ট। পরে একটি অনলাইন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে চার মাসে চারটি অস্ত্র ক্রয় করেন।
টিপল বলেন, গান সিটির কাছে অস্ত্র বিক্রির নথি আছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পুলিশকে দিয়েছি।
খবর৭১/ইঃ