মলিন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাল ১০ জনের টিম টাইগার

0
383

খবর ৭১:না, এবারও হলো না। বড় সুযোগ ছিল প্রথমবারের মত ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জেতার।

প্রতিপক্ষ দুই দল শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ে ছিল দুর্বল। দাপটের সাথেই ফাইনালে এসেছিল বাংলাদেশ। গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বহীন ম্যাচে ৮২ রানে অল-আউট হওয়ার ধাক্কাটা আজ ফাইনালেও হয়ত সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। তার মধ্যে সাকিব ইনজুরিতে পড়ায় বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে। ১০ জন নিয়ে খেলে মাদুশাঙ্কার হ্যাটট্রিকে ৭৯ রানে হেরে বসল মাশরাফি বাহিনী। শিরোপা তুলে ধরল ভাঙ্গাচোরা দল শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন: স্টেডিয়াম থেকে হাসপাতালে সাকিব!

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২২২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মহাবিপদে পড়ে সাকিব বিহীন বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রানে চামিরার বরে ধনঞ্জয়ার তালুবন্দি হলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল (৩)। আঙুলে চোট পেয়ে সাকিব গেছেন হাসপাতালে।

এই ম্যাচে খেলা অনিশ্চিত। ১০ জনের দলে ৩ নম্বরে নামেন সাব্বির। একটু পরেই রানআউট হয়ে যান মোহাম্মদ মিথুন (১০)। চলতি সিরিজের শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ সাব্বির। ২ রান করে চামিরার দ্বিতীয় শিকার হন।

বিপর্যয় সামাল দিতে ৫৮ রানের জুটি গড়েন ব্যক্তিগত জীবনে ভায়রা-ভাই মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে উপুল থারাঙ্গার হাতে ধরা পড়লেন মুশফিক (২২)। হতাশ ভঙ্গিতে মুশির মাথা নাড়াতে নাড়াতে মাঠ ছাড়ার দৃশ্য ছুঁয়ে গেল সবাইকে। ফাইনালে একাদশে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না মিরাজ। ধনঞ্জয়ার বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হলেন ৫ রানে। সবার বিপরীতে দাঁড়িয়ে ৭০ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ১৮তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদ উল্লাহ।

মাহমুদ উল্লাহকে দারুণ সঙ্গ দিতে থাকা সাইফ উদ্দিন (৮) ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউট হয়ে যান। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি। ৫ রান করে মাদুশাঙ্কার প্রথম শিকার হন। পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান রুবেল হোসেন (০)। এক ওভার পরে আবারও বোলিংয়ে এসে প্রথম বলটিতেই ৯২ বলে ৬ চার ৩ ছক্কায় ৭৬ রান করা মাহমুদ উল্লাহকে উপুল থারাঙ্গার তালুবন্দি করে হ্যাটট্রিক করে বসেন মাদুশাঙ্কা। ৪১.১ ওভারে ১৪২ রানে অল-আউট হয় ১০ জনের বাংলাদেশ।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২১ রানে অল-আউট হয়ে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৮ রানে দানুশকা গুনাথিলাকাকে (৬) তামিম ইকবালের তালুবন্দি করেন সিরিজে প্রথমবার দলে ফেরা মেহেদী মিরাজ। এরপর অবশ্য কুশল মেন্ডিসের হাতে ২ চার ৩ ছক্কা খেতে হয়েছে মিরাজকে। ৯ বলে ২৮ রান করা কুশলকে মাহমুদ উল্লাহর তালুবন্দি করে থামিয়েছেন টাইগার ক্যাপ্টেন মাশরাফি।

৪২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ৭১ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন ওপেনার উপুল থারাঙ্গা এবং নিরোশান ডিকাভেলা। লঙ্কান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে ব্যক্তিগত ৪২ রানে সাব্বির রহমানের তালুবন্দি করে জুটি ভাঙেন সাইফ উদ্দিন। এরপর আবারও ৪৫ রানের জুটি গড়েন উপুল থারাঙ্গা এবং অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। হাফ সেঞ্চুরি করা ওপেনার থারাঙ্গাকে বোল্ড করে প্রতিরোধ ভাঙেন মুস্তাফিজ।

এরপর শুরু হয় পেসার রুবেল হোসেনের গতির ঝড়। ৫ রানের ব্যাবধানে বিপজ্জনক থিসারা পেরেরাকে (২) তামিমের তালুবন্দি করে শিকার ধরা শুরু করেন তিনি। তার দ্বিতীয় শিকার হন ৬ রান করা অ্যাশলে গুনারত্নে। ৭৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলা অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালও রুবেলের বলে বোল্ড হয়ে যান। ৭ রান করা মাদুশাঙ্কার স্টাম্পও উড়িয়ে দেন রুবেল। ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে তার সংগ্রহ ৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কা থামে ২২১ রানে।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here