খবর ৭১ঃ বর্তমান ট্রাস্টিকে সরিয়ে মন্দিরের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছিল। ক্ষমতার লোভে ১৫ জনের প্রাণ নিতেই পিছপা হয়নি ইম্মাডি মহাদেব স্বামী। মানুষের কল্যাণেই নাকি তিনি সংসার ছেড়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন।
কর্নাটকের কোল্লিগালের সুলওয়াডি গ্রামে কিচগুথ মারাম্মা মন্দিরের প্রসাদ খেয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ১৫ জনের, হাসপাতালে ভর্তি হন ১০০ জনেরও বেশি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে স্থানীয় সন্ন্যাসী ইম্মাডি মহাদেব স্বামী ও তার তিন সঙ্গী মিলে ষড়যন্ত্র করে মন্দিরের প্রসাদে বিষ মিশিয়েছিল। চারজনকেই খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫২ বছরের মহাদেব স্বামী ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে তার প্রেমিকা অম্বিকা (৩৫), অম্বিকার স্বামী মাদেশা (৪৬) এবং স্থানীয় অন্য একটি মন্দিরের পুরোহিত ডোদ্দাইয়াকে ( ৩৫)।
বাগানে দেবে বলে কৃষি দফতরের এক অধিকারিকের কাছ থেকে দুটি ৫০০ মিলিলিটার কিটনাশকের বোতল সংগ্রহ করে অম্বিকা। এই কীটনাশকই মন্দিরের প্রসাদে মেশানো হয় বলে জানিয়েছেন আইজিপি কেভি শরৎ চন্দ্র। কর্নাটক-তামিলনাড়ু সীমান্তের এই মন্দিরে বছরে অন্তত ১২ লাখ টাকার রেভেনিউ জেনারেট হয়। মন্দিরের প্রধান ট্রাস্টি চিনাপ্পিকে সরিয়ে সেই জায়গায় নিজে বসতে চেয়েছিল মহাদেব স্বামী। তার জন্য কয়েকজনকে মারতে যে তার আপত্তি ছিল না, তা পুলিশের কাছেও জানিয়েছে মহাদেব।