খবর৭১:চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগের বিক্ষোভ মধ্যরাতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতায় গড়িয়েছে।
সন্ধ্যার পর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের এক দফা ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
এরপর তারা শাহবাগে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ভবনে ভাঙচুর করে এবং গাড়ি, আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক তারেক হাসান নির্ঝর জানান, আন্দোলনকারীরা টিএসসির দিকে আসলে ছাত্রলীগ কর্মীরাও তাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হলগুলো থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী টিএসসিতে জড়ো হয়।
রাত ২টার সময় তিনি জানান, চারদিক থেকে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়ছে আর ছাত্রলীগের কর্মীরা ইটপাটকেল মারছে। টিএসসি এলাকায় এ সময় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। রাত দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে সোমবার সকাল ১১টায় আলোচনার প্রস্তাব করেন।
নানক ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘসময় ধরে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আগামীকাল সকাল ১১টায় সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য তাদের আহবান জানাচ্ছি।
পুলিশ অনেককে আটক করছে বলেও জানা গেছে, যদিও শাহবাগ থানার পুলিশ আটককৃতদের কোন সংখ্যা জানাতে পারেনি। টিয়ারগ্যাস আর লাঠিপেটায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানাচ্ছেন সংবাদকর্মীরা।
সিভিল সার্ভিস বিসিএস সহ সকল সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থায় নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করে রোববার দুপুর থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী। তবে রাত ৮টার দিকে সেখানে গিয়ে পুলিশ তাদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ এলাকা থেকে জানিয়েছিলেন, কোনো একটি ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবস্থান করবেন তারা। সেইসঙ্গে সোমবার তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বিভিন্ন ধরনের কোটা চালু আছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সে সমস্ত কোটাকে কমিয়ে আনার দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তারা শাহবাগে মিছিল ও সমাবেশ করছেন।
খবর৭১/জি: