আব্দুল আওয়াল: মদনে বাঁ-হাত ভেঙ্গে যাওয়া রোগীর ডান হাতে প্লাস্টার করে বসলেন চিকিৎসক। নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা ইদুঁচান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই চিকিৎকের বিচার চেয়ে স্বাস্থ্য প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
দুই বছরের ওই শিশুটির নাম ইমা আক্তার। বাড়ি মদন উপজেলার মদন দক্ষিণপাড়া গ্রাম। বসত ঘরের কাঠ থেকে মাটিতে পড়ে তার বাঁ-হাতটি ভেঙ্গে যায়। হাতে ব্যথা অনুভব করলে শিশুটির মা তাসলিমা আক্তার মঙ্গলবার শিশুটিকে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসে। একটি ক্লিনিকে এক-ক্সে করে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিরাজুল ইসলাম মিরাজকে দেখান। মিরাজুল ইসলাম মিরাজ রোগীকে সঠিকভাবে না দেখেই ভুলে ইমা আক্তারের ভাঙ্গা বাঁ-হাত রেখে ডান হাত প্লাস্টার করে বসেন। প্লাস্টার সেরে ইমাকে বাড়ি নিয়ে যায় মা তাসলিমা আক্তার। বাড়িতে গেলেই শিশুটির ব্যাথার যন্ত্রনায় কাতরাছে দেখে তারা আবার শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বাঁ-হাতে ভাঙ্গা ডান হাতে প্লাস্টার করছেন কেন বললে তিনি আবার নতুন আরেকটি প্লাস্টার করার জন্য বলেন।
শিশুটির মা তাসলিমা আক্তার জানান, আমি অনেকবার বলার চেষ্টা করেছিলাম যে আমার মেয়েকে ভুল হাতে প্লাস্টার করা হয়ছে। কিন্তু তিনি আমার কথায় কোনো গুরুত্বই দিলেন না। মেয়েটিকে বাড়ি নিয়ে গেলে যন্ত্রনায় কাতরাছে দেখে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসি। তিনি নতুন আরেকটি এক-ক্সে দেন এবং বা হাত খোলে ডান হাতে প্লাস্টার করেন। চিকিৎসকের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিশুটির বাবা ইঁদু চান বলেন, এটা গাফিলতির চরম পর্যায়। এমনকি হাসপাতাল থেকে আমাদের একটা ট্যাবলেটও দেওয়া হয়নি। আমি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ ঘটনার তদন্তের দাবি করছি আমি।
উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিরাজুল ইসলাম মিরাজ জানান,তারা আমাকে না বলে এক-ক্সে করে নিয়ে এসেছে। শিশুটির ডান হাতে ধরতেই ব্যথা অনুভব করায় তার এ হাতেই প্লাস্টার করে দিয়ে ছিলাম। কিন্তি এক-ক্সেতে কোন হাতে ব্যথা হয়েছে তা লেখা ছিলনা। ফলে ভুলটি হয়েছে। আবার নতুন করে এক-ক্সে নিয়ে প্লাস্টার করে দিয়েছি।
স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাক্তার ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু জানান, এমন ভুল খুবই দুঃখ জনক। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।