খবর৭১ঃ বৈশাখের আগুন লেগেছে প্রকৃতিতে। ঝড়-বৃষ্টির পর বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। বাড়ছে গরম। আর এই হঠাৎ গরমে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছে জনজীবন। ক্রমবর্ধমান এই তাপমাত্রা আগামী মঙ্গলবার থেকে দাবদাহে রূপ নিতে পারে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়লেও দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমতে পারে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি থাকবে অনেকটাই স্বাভাবিক।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল সিলেটের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রাও থাকতে পারে অপরিবর্তিত।
সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসের উষ্ণ আবহাওয়ায় কালবৈশাখি, বজ্রঝড়ের অনুকূল পরিবেশ থাকে। বিশেষ করে উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কালবৈশাখির প্রাবল্য দেখা যায়। এই সময়টাতে যেকোনও সময় বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাতের আশঙ্কা বাড়ে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল গত পাঁচ দশকের মধ্যে রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে। ওইদিন ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।