ভ্রাম্যমাণ আদালতে সার্বক্ষণিক পুলিশ চান ম্যাজিস্ট্রেটরা

0
404
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সার্বক্ষণিক পুলিশ চান ম্যাজিস্ট্রেটরা

খবর৭১ঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন দেখভালে সব সময়ের জন্য পুলিশ সদস্যদের চাইলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তারা বলেন, পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া প্রার্থী বা সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া কঠিন। এছাড়া দুই সিটির বর্ধিত ওয়ার্ডগুলোতে রাস্তাঘাট ভালো না থাকায় গাড়ি চলাচলে সমস্যাসহ বেশকিছু সমস্যা তারা তুলে ধরেন।

রোববার ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে (ইটিআই) এবং ডিএসসিসির ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে পৃথক বৈঠক করেন রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা আচরণ বিধি প্রতিপালনে ম্যাজিস্ট্রেটদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

এদিকে, নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগে ক্যাম্প স্থাপন ও উদ্বোধন নিয়ে দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ভিন্ন বক্তব্য দেন। ডিএনসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, ১০ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর যারা মাঠে থাকবেন তারাই প্রার্থী। এর আগে কেউ প্রার্থী নন। প্রার্থী না হলে ক্যাম্প উদ্বোধনের বিষয়টি আসে না। অপরদিকে ডিএসসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, ক্যাম্প তৈরি করা যাবে, কিন্তু উদ্বোধন করা যাবে না। ক্যাম্প উদ্বোধন করা প্রচারের অংশ ও আচরণ বিধির লঙ্ঘন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ডিএসসিসি নির্বাচনে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটরা বলেছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময়ে সার্বক্ষণিক পুলিশ যেন দেয়া হয়। এটা নিশ্চিত করার জন্য তারা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান। এছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সমন্বয়ে বৈঠক করার প্রস্তাব করেন তারা।

ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ১০ জানুয়ারির আগে কেউই প্রচার চালাতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা কতটি ক্যাম্প করতে পারবেন তা বিধিমালায় উল্লেখ রয়েছে। এর বেশি কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্যাম্প স্থাপনের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। ১০ জানুয়ারির পর প্রচার শুরু হলে মাইকিং করতে পারবেন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মাইকিং করার আগে অনুমতি নিতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর ও ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে সমন্বয়কারী কর্মকর্তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল বাতেন বলেন, আচরণ বিধি প্রতিপালনে ম্যাজিস্ট্রেটদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। সামনের দিনগুলোতে নির্বাচনী উত্তেজনা বাড়তে পারে। সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

সন্ধ্যায় ইটিআইয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে বৈঠক করেন রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ম্যাজিস্ট্রেটরা যেসব এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন সেখানকার থানা থেকে তাদের পুলিশ সদস্য দেয়া হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে তা যেন অব্যাহত থাকে সেই পদক্ষেপ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানান কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া কেউ কেউ বলেন, ডিএনসিসির বর্ধিত অংশ উত্তরখান, দক্ষিণখানসহ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। সেখানে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

ডিএনসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, সারা দিন ম্যাজিস্ট্রেটরা কোথায় কী কাজ করেছেন তা রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে লিখিত আকারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিতে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা কোন দিকে যাচ্ছেন তাও অবহিত করতে বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here