ভোলা-২ আসনে হাফিজ বিকল্প বিএনপির নতুন প্রার্থী চায় তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা

0
317

মিজানুর রহমান ভোলা পতিনিধিঃ
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগনের মধ্যে ক্রমেই উৎসাহ উদ্ধিপনা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এসবের মধ্য দিয়েও আ.লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থী লবিং তদবীর চালিয়ে আসছে। ভোলার ৪টি আসনের মধ্যে ভোলা-২ আসনটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনটি আওয়ালীগের দখলে ছিল বেশ কয়েকবার। ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনটি চলে যায় বিএনপির নিয়ন্ত্রনে। ঐ নির্বাচনে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিম সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে এই আসনটি একেবারে বিএনপির রাজত্বে চলে যায়। পরিচিতি পায় বিএনপির অধ্যুশিত এলাকা হিসাবে। এখনো সেই পরিচিতি সর্বাধিক প্রচার-প্রচারিত।

ভোলা-২ আসনে ধানের শীষ প্রতিক পেতে আগ্রহী অনেকেই। তবে মাঠে আছেন দুজন। দৌলতখান বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিয়ে ঘঠিত এ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ না থাকলেও গোপনে একাদিক ধারা বিরাজ করছে। তাছাড়া এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির হাই কমান্ডেন্ট ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট প্রবাসি জাহাঙ্গীর এম আলম। বিএনপির দূর্গ হিসাবে পরিচিত ভোলা-২ আসনে ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন হাফিজ ইব্রাহিম। বিগত ৭-৮ বছর দরে তিনি নেতা কর্মীদের কাছ থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছেন। হাফিজ ইব্রাহিমের এক সময় বাহারী জৌলুশ থাকলেও এখন আর তা নেই বললেই চলে। নানা কারণে তিনি এখন দলের মধ্যে চরম বির্তকিত ব্যক্তি। আবার সরকারী দলের প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিদের সাথে আতাত করে ঢাকা চরফ্যাশন/মনপুরা হাতিয়া রুটে ল ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ফলে তিনি এখন রাজনীতির বাহিরে গিয়ে ল ব্যবসায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি এখন দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অনেকটা জন বিচ্ছিন্ন। এ ল ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে মামলা-হামলা দিয়ে জেল-জুলুম হয়রানি করলে ও তিনি কোন নেতা কর্মীদের খোজ খবর রাখেন নি বলে অভিযোগ নেতা কর্মীদের। বিশেষ করে সরকারী দলের সাথে আতাত করে ল ব্যবসার ফলে নেতা কর্মীরা তার প্রতি চরম অসন্তোষ।

নেতা কর্মীদের অভিযোগ, হাফিজ ইব্রাহিমের এক সময় জনপ্রিয়তা থাকলেও তা এখন আর নেই। আবার একটি মামলায় সাজা বহাল থাকায় তার প্রার্থীতা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির নেতা কর্মীরা চাইছেন হাফিজ ইব্রাহিমের বিকল্প প্রার্থী। নেতা কর্মীরা জানান, এই আসনে বিএনপি থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনো পরিস্কার নয়। নেতা কর্মীদের বড় অংশ গত কয়েক বছরের মামলা-হামলায় কোণঠাসা। এলাকা ছাড়া অনেকেই। এখন পর্যন্ত বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা নেই। তবে গত কয়েক মাস ধরেই প্রবাসী জাহাঙ্গীর এম আলম নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করছেন এবং প্রচার- প্রচারনা চালাচ্ছেন। এই আসনে নতুন প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানান তৃণমুলের নেতা কর্মীরা। অনেকই হাফিজ ইব্রাহিম এর বিকল্প প্রার্থী হিসাবে জাহাঙ্গীর এম আলমকে প্রার্থী দেওয়ার দাবী জানান।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here