ভোলায় হালিাম খাতুন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান

0
333

খবর ৭১ ভোলাঃ
ভোলার উত্তরের একমাত্র মহিলা বিদ্যাপিঠ ‘হালিমা খাতুন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘রজত জয়ন্তী উৎসব ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারী) সকালে কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত রজত জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ‘হালিমা খাতুন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সফল সচিব এম মোকাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ‘হালিমা খাতুন গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেন। স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী গোলাম কিবরিয়া জাহাঙ্গীর, শেখ ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মীর সাফিন আহমেদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ এমরান হোসেন, নাজিউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাকসুদুর রহমান, আলতাজুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জাহানজেব আলম টিটব, বাপ্তা ইউপি চেয়ারম্যান ইফরানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ।
স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা নাছিমা শিরিন তুলির সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন, ধনিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মহিউদ্দিন, ইলিশা ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলী আহাম্মদ মীর, পরানগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছিদ্দিক, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে ভোলার কৃতি সন্তান সাবেক সচিব ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এম মোকাম্মেল হকের ৮০তম শুভ জন্মদিন কেক কেটে পালন করা হয়।
প্রধান অতিথি এম মোকাম্মেল হক বলেন, আমার পিতা আলহাজ্ব কবি মোজাম্মেল হক যে যুগে জন্ম নিয়েছেন সে যুগে মুসলামনদের কোন শিক্ষাধিক্কা ছিলো না। তারা মুসলমান সমাজকে তুলতে চেয়েছেন। তাই আমার পিতা কবি মোজাম্মেল হক শিক্ষা বিস্তারের জন্য নিজ উদ্যোগে ১২টি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। আমাদের দ্বীপজেলা ভোলা একটি বেকোয়াট প্রান্তিক জেলা। এ জেলায় নারী শিক্ষা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। চিন্তা করেছি নারী শিক্ষার জন্য কিছু করা যায় কি না। সে চিন্তা করে আমি এখানে আমার মায়ের নামে মেয়েদের জন্য একটি স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। এখানে বর্তমানে ১০০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।
তিনি আরও বলেন, আলহাজ্ব শওকাত হোসেন না হলে এখানে এতো সুন্দরভাবে এ স্কুল এন্ড কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা ও দ্রুত এগিয়ে নেওয়া অসম্ভব ছিলো। কারণ আমি এখানে থাকি না থাকতাম না, আমি থাকতাম ঢাকা। শওকাত হোসেন যে কোন প্রয়োজনে বলতো স্যার আপনি এখানে একটি ফোন করে দেন, বাকী সব কাজ সে করে নিয়ে আসতো। এরকম লোক আমি কম পেয়েছি। শওকাত হোসেন চাকুরী নয়, এটাকে একটা পেশা হিসেবে নিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ ও তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মেধা ও শ্রম দিয়ে এটি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here