ভোলায় মাদক ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় এক কৃষককে হত্যা

0
259

মিজানুর রহমান, ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলায় মাদক ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় এক কৃষককে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে বাপ্তা ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বারের ছেলেসহ পুলিশের বিরুদ্ধে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে টানা হয়। এতেই মারা যান কৃষ্ণপদ দাস। স্থানীয়রা জানায় কৃষ্ণ পদের গাঁজা সেবনের অভ্যাস রয়েছে। তবে বিক্রেতা নয়। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের এ ঘটনাকে পুলিশ বলছে স্টোকজনিত কারনে মারা গেছে। পোষ্টমটেম না হওয়ার জন্যও একটি গ্রুপ চেষ্টা চালায়।
সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, পোষ্টমটেমের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে নিহত কৃষ্ণপদ দাসের গলায় স্পট (কালো দাগ) রয়েছে। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করে ওই দাগ পুরাতন। নিহতের স্ত্রী চাতুর রানী ও ছেলে সুজন দাস জানান, গলায় আগের কোন দাগ ছিল না।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ ইউপি মেম্বার মঞ্জু মাতাব্বরের ছেলে জনি (রনি) গাজা, ইয়াবা ব্যবসা করে। ওই ছেলেই কৃষ্ণপদকে মাদকের চালান বহনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। রাজি না হওয়ায় গত মাসে দেখিয়ে দিবে বলেও শাসায় জনি। সকালে মেম্বারের ছেলে জনি কৃষ্ণপদ দাসকে আটকে গাঁজা ও মাদকের সরঞ্জামাদিসহ ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশ দেয়। চলে নির্যাতন,গলায় দড়ি বেঁধে টেনে নেয়া হয় কৃষ্ণপদকে। আর এতেই থানা হেফাজতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে কৃষ্ণপদ। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেয়া হয়। ডাক্তার অক্সিজেন দেয়ার চেষ্টা করেন। ততক্ষনে কৃষ্ণপদ আর জীবিত ছিল না।
কৃষণপদকে সকাল ৯টায় আটক করে মেম্বারের ছেলে জনি। পুলিশে দেয়া হয় সাড়ে ১০টায়। ডাক্তার টিশাদার রহমান জানান, দুপুর ২টা ১০ মিনিটের সময় হাসপাতালে আনা হয় কৃষ্ণপদকে। তারা ইসিজি করারও চেষ্টা করেন।
এদিকে ভোলা থানার ওসি মোঃ ছগির হোসেন বলেন, কৃষ্ণপদকে আটকের পর এক মন্দিরের ভেতর থেকে মাদকের চালান উদ্ধার করা হয়েছে। সে স্ট্রোক জনিত কারনে মারা গেছে। একই কথা জানান ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব। তিনি বলেন, এক কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে তারা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। তার বাড়ির নাড়ার ভেতর থেকে প্রায় ৫ কেজি পরিমানে গাঁজা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বিপুল দাস জানান, মেম্বারের ছেলেই কৃষ্ণপদকে প্রথমে ধরে আনে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব এসে পুলিশে সোর্পদ করেন। পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম ফিরোজ জানান, তবে কৃষ্ণপদকে আনার সময় মেম্বারের ছেলেও সঙ্গে আসে। স্থানীয়রা জানায়, কৃষ্ণপদ নিজে গাঁজা সেবনে জড়িত। তাবে বিক্রেতা নয়। সে একজন সামান্য কৃষক। নিজের দুটি গরু রয়েছে। ওই দুধ বিক্রি করে সংসার চলে। তার স্ত্রীও অন্যের বাড়ি কাজ করে। ছেলেরা অন্যের দোকানে কাজ করে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here