মিজানুর রহমান ,ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলায় গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সুরমা নামের(২৮)এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আগুনে শিশুসহ ২ জন দগ্ধ হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাদের ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল প্রেরন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে জেলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খারাকান্দি গ্রামে ঘরে সিঁদকেটে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে,নিহতের স্বামী ফারুক পেট্রোল দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত সুরমার সাথে বোরহানউদ্দিনের দেউলা এলাকার রফিকের সাথে ৬ মাস আগে বিয়ে হয়। এটা ছিলো রফিকের তৃতীয় বিয়ে। এদিকে এই বিয়ের পর লালমোহনের কর্তার হাট এলাকায় ঘর ভাড়া করে স্বামী স্ত্রী দুই জন বসবাস শুরু করে। কিন্তু রফিক তেমন কাজ কর্ম করতো না। তাই ঘর ভাড়া ঠিক মতো পরিশোধ করতে পারতো না। এছাড়াও বিয়ের পর স্বামী রফিকের সাথে বনিবনা হচ্ছিল না। তাদের সাথে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এ নিয়ে বিচার শালিশও হয়। গত ১০দিন আগে সুরমাকে রেখে তার স্বামী চলে যায়। তার পর সুরমা বড় বোন আংকুরা বেগমের বাড়িতে উঠে। ওই বাড়িতে শুক্রবার রাতে খাবার পর এক বিছানায় সুরমা ও তার বোন আংকুরা এবং আংকুরার মেয়ে খাদিজা ঘুমিয়ে পড়ে । রাত আনুমানিক দের টার দিকে তাদের মাটির ঘরের পেছন দিয়ে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে দুর্বৃত্ত। চৌকিতে ঘুমন্ত অবস্থায় লেপ তোষকে আগুন ধরিয়ে দেয়া,আগুনে সুরমার ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয়। তা বড় বোন আংকুরা (৩৮) ও বোনের মেয়ে খাদিজা (৮) পুড়ে মারাত্নক আহত হয়। তাদের আর্তচিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘরে প্রবেশ করে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান,অগ্নি দগ্ধ আহত ২ জনকে রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।এদিকে লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রু কবীর জানান , তারা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
খবর৭১/ইঃ