ভোলার তজুমদ্দিনে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার বেহাল দশা

0
248

খবর৭১,ভোলা প্রতিনিধিঃভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন রুম ও প্যাথলজি বিভাগের রুমগুলো ১৫ বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নেই রেডিওগ্রাফার ও ম্যাডিকেল ল্যাবরেটরী টেকন্যাশিয়ান সহ প্রয়োজনীয় লোকবল। অযতœ ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মেশিন এবং যন্ত্রপাতি। রোগ নির্ণয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলার প্রায় দুই লাখ সাধারন মানুষ।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিনের প্রায় ২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য ৩১ শয্যা বিশিষ্ট (৫০ শয্যা প্রস্তাবিত নির্মানাধীন) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৩ সালে এক্সরে মেশিন পাওয়ার পর থেকে এ যাবৎ রেডিও গ্রাফার না থাকায় মেশিন রুমটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। এ ছাড়া ১৮ বছর যাবৎ ম্যাডিকেল ল্যাবরেটরী টেকন্যাশিয়ান না থাকায় প্যাথলজি বিভাগের রুমগুলোও বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল সুত্র আরো জানায়, একজন ম্যাডিকেল ল্যাবরেটরী টেকন্যাশিয়ান তজুমদ্দিনে কর্মরত দেখিয়ে জেলা শহর ভোলায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। এ দুটি বিভাগে কোন ষ্টাফ কর্মরত না থাকায় অযতœ-অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মেশিন ও যন্ত্রপাতি। পাশাপাশি ইউরিন, রক্ত পরিক্ষা ও ডায়াবেটিস সহ জটিল রোগ নির্ণয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয় এই উপজেলার সাধারন মানুষকে। এ ছাড়া জটিল কোন সমস্যায় রোগীদের এক্সরে বা রক্ত পরিক্ষা করার প্রয়োজন হলে ডাক্তাররা তাদেরকে ভোলা সদরসহ বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রেফার করেন। গ্রামাঞ্চলের অসহায় রোগীরা দূর দুরান্তে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়ে বেশী টাকা খরচ করতে বাধ্য হন বলে জানান চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী চাদপুর ইউনিয়নের বাসীন্দা বৃদ্ধ শাহে আলম, আঃ জলিল, জাহানারা সহ আরো অনেকে জানান, একযুগেরও বেশী সময় এক্স-রে মেশিন রুমের তালা খুলতে দেখিনি, যন্ত্রপাতি থাকা সত্বেও অপরেটরের অভাবে কোন পরিক্ষা করানো যায়না। সরকারী প্রতিষ্ঠানেই অবহেলা ও ভোগান্তি বেশী হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, জনবলের সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হইতেছে। রোগ নির্ণয় করতে হলে পরিক্ষা প্রয়োজন, যা হাসপাতালে করানো যায়না। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করানো হয়েছে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here