ভোলার তজুমদ্দিনে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ২০, আটক ৯

0
692

মিজানুর রহমান ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ভাংচুর করা হয়েছে উভয় গ্রুপের অন্তত ৪টি নির্বাচনী অফিসসহ বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল। এঘটনায় অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। পুলিশ জিঞ্জাসাবাদ করার জন্য ৯জনকে আটক করেছে।
থানা পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানান,বুধবার দিন ব্যাপী উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের কাটাখালী নামক বাজারে নির্বাচনী প্রচারনার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা এবং আওয়ামী লীগ এর বিদ্রোহী প্রার্থীর আনারস মার্কার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে চলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। আস্তে আস্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ইউনিয়ন পরিষদ সামনের বাজার, মঙ্গলসিকদার চাচড়া বাজারে। এসময় একে অপরের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে নৌকা ও আনারস মার্কার অন্তত ৪টি নির্বাচনী অফিস ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ, ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এছাড়া পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য ৯জনকে আটক করেছে। বর্তমান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে এঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক দেওয়ান এবং বিদ্রোহী আনারস মার্কার প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল উভয় উভয়কে হামলা,ভাংচুরের জন্য দায়ী করেন। তবে মামলা না নেয়া ও সমর্থকদের পুলিশী হয়রানী করার অভিযোগ বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলালের।
অপরদিকে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে তজুমদ্দিন থানার ওসি মো: ফারুক আহমেদ বলেন, ঘটনা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন এনেছে। ৯জনকে আটক করা হয়েছে জিঞ্জাসাবাদ এর জন্য। তবে কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১মার্চ ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবার কথা রয়েছে।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here