ভোলাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগের নাম বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড

0
265

খবন ৭১ ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার ২০ লক্ষ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাস স্ট্যান্ডের ভেতরের রাস্তাগুলো খাদা খন্দকে পূর্ণ। বাসস্ট্যান্ড ভবনের কিছু অংশ ইতোমধ্যেই ধ্বসে পরেছে, বাকী অংশ রয়েছে ঝূকিপূর্ণ অবস্থায়। এখানে যাত্রীদের জন্য নেই নূন্যতম কোন সুযোগ সুবিধা। তবে পৌরসভার নিৃর্বাহী প্রকৌশলী বলছে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মানের জন্য ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
১৯৮৮ সালে ২কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ভোলায় নির্মান করা হয় তৎকালীন সময়ের সর্বাধুনিক দৃষ্টিনন্দন বাসটার্মিনাল। নাম রাখা হয় ভোলার গর্ব বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের নামানুসারে “বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসটার্মিনাল”। ভোলার অভ্যন্তরীন ১০টি রুটের বাসসহ অন্যান্য জেলায় চলাচলকারী দূরপাল্লার সব বাসগুলোও এই স্ট্যান্ড ব্যবহার করে।
নির্মানের পর থেকে সংস্কার না করায় সেই আধুনিক বাস টার্মিনালটি এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এর ভেতরের রাস্তা গুলো ভেঙ্গে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। সেই গর্তে পানি জমেলে আর চলাচল উপযোগী থাকে না। যাত্রী আসা তো দূরে থাক গর্তে পরে প্রতিদিন বহু সংখ্যক বাস বিকল হচ্ছে। কাদা পানি ডিঙিয়ে বাসে ওঠার ভয়ে অনেক যাত্রী বাসে না উঠে বিকল্প যানবাহনে চলে যাচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার ও অবস্থা করুন। ভাঙ্গা রাস্তার কারনে অনেক বাস মহাসড়কে দাড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে যার কারনে যানযটের সৃষ্টি হয়। স্ট্যান্ডের ভাঙ্গা রাস্তার কারনে প্রতিদিন ৩০-৪০টি বাস বিকল হয়ে যাচ্ছে। বাস স্ট্যান্ডের মূল ভবনের অনেক অংশ ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে, বাকী অংশ রয়েছে ঝূকিপূর্ণ অবস্থায়।
এই বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের জন্য নেই নূন্যতম কোন সুযোগ সুবিধা। যাত্রীদের বসার কোন ব্যবস্থা নেই, ক্যান্টিন নেই, টয়লেট নেই, বাস চালক ও শ্রমিকদের জন্য নেই কোন বিশ্রামের স্থান।
বাস ড্রাইভাররা জানায়, বাস টার্মিনালে বড় বড় থালা গাড়ি বের করতে ও ঢুকাতে অনেক অসুবিধা হয়। যাত্রী সড়ক থেকে তুলতে ও নামাতে হয়। এতে সড়কে যানজট লেগে যায়। বাস টার্মিনালের গর্তগুলোতে পড়ে বাসের নানা রকম ক্ষতি হচ্ছে প্রতিদিনই কোন না কোন কাজ করানো লাগছে বাসের।
যাত্রীরা জানায়, টার্মিনালটি দক্ষিন অ লের বৃহত্তম বাসটার্মিনাল। ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় যেতে হলে বাস যোগে যেতে হয় আর বাস টার্মিনালের এই দূর অবস্থার কারনে প্রতিদিনই তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। টার্মিনালে কোন টয়লেট নেই যাত্রী বসার কোন স্থান নেই ,ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়,হয় বাইরে না হয় কোন এক দোকানের সামনে। এমনকি ঠিক নেই টার্মিনালের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও।
বাসটার্মিনালটি দ্রুত সংস্কার করার দাবী জানিয়েছেন ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম। ভোলা জেলার সর্বস্তরের মানুষেরও একই দাবী যেন দ্রুতই সংস্কার বা পৌরসভার ঘোষনাকৃত বাস টার্মিনাল নির্মান করা হয় এবং সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করা হোক ভোলার ২০ লক্ষ মানুষকে।
পৌরসভা বলছে ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যার অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here