ভোলা প্রতিনিধি:ভোলার ভেদুরিয়ায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ৮জনকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতদেরকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় হামলাকারীরা স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। রোববার (২২ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের খেয়ারমাথা এলাকার আমিনুদ্দিন মিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আমিনুদ্দিন মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ জিলনের ভোগদখলীয় জমি নিয়ে মোঃ মিলনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিশী বৈঠক বসলেও মিলন তা অমান্য করে জোরপূর্বক জিলনের জমি দখলের পায়তারা চালায়। মিলন প্রভাবখাটিয়ে বিভিন্ন সময় জিলনের জমির গাছগাছালী নষ্ট করতো এবং পুকুরে ময়লা আবর্জনা ফেলতো। এতে বাধা দিলে মিলন বিভিন্নভাবে জিলনকে হুমকী ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখাতো। রোববার সকালে পুকুরে আবর্জনা ফেলাকে কেন্দ্র করে জিলনের সাথে মিলনের তকর্-বিতর্ক হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিলন তার সাবেক জামাই ও ভাগিনা গিয়াস উদ্দিনকে খবর দেয়। পরে দুপুরের দিকে গিয়াস উদ্দিন, তার ভাই মহিউদ্দিন, বাবুল, জুয়েল, শফি, মোঃ মামুন, মিলনের জামাই জহির, সোহেল, মেয়ে সালমা সহ ১৫/১৬ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে জিলনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা জিলন, তার স্ত্রী মিনারা, ছেলে হাসনাইন, মেয়ে ঝর্নাকে এলোপাথারী মারধর করে। এসময় জিলেনর ভাই কবির ও তার স্ত্রী আমিরুন বেগম বাঁধা দিতে গেলে গিয়াস বাহিনী তাদেরকেও এলোপাথারী মারধর করে। গিয়াস বাহিনী জিলন ও কবিরের ঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর কর। এসময় গিয়াস বাহিনী স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা সহ ঘরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে হাসনাইন, মিনারা ও ঝর্ণার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ভেলুমিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন ও মিলনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির মিয়া জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।
খবর ৭১/ এস: