ভুয়া এক্সরে প্রতিবেদনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কারাবাস

0
310

খবর ৭১:লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুয়া এক্সরে প্রতিবেদনে এক কলেজছাত্রকে ৯ দিন (৭ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি) কারাভোগ করতে হয়েছে। তার নাম জ্যোতি হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুর কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। ১ মার্চ অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে সে।

জ্যোতি ওই মামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এতে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছে না সে। মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছে। এ কারণে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জ্যোতির পরিবারের অভিযোগ, তাদের ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ ইচ্ছেমতো কম্পিউটারে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকের নাম-পদবির সিল ব্যবহার করে এক্সরের ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে তা আদালতে দাখিল করায় ওই ছাত্রের জামিন নামঞ্জুর করা হয়।

পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার বগা রাখালিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন চৌধুরী মিঠুকে ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর বামনীর ভূঁইয়ার হাটে পিটিয়ে আহত করে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ অভিযোগে তিনি ১৫ অক্টোবর বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আদালতে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে একই গ্রামের রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী জাবেদ চৌধুরী বেল্লালকে প্রধান ও জ্যোতি হোসেনকে চার নম্বর আসামি করা হয়।

সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এতে অভিযোগে থাকা সাতজনকেই অভিযুক্ত করা হয়। মামলার কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, আদালতে দাখিল করা এজাহারের সঙ্গে বাদী এক্সরে প্রতিবেদন ও চিকিৎসকের স্বাক্ষর-পদবির সিল ব্যবহার করা প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জ্যোতি হোসেন জানায়, জখমের ভুয়া প্রতিবেদন দাখিল করার কারণে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এজন্য সে ৯ দিন কারাগারে ছিল। মামলার কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছে না। তার শিক্ষা জীবনের বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, চিকিৎসকের এমসি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। এক্সরের প্রতিবেদনটি ভুয়া ছিল কিনা, তা আমার জানা নেই।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here