খবর৭১: ভালোবাসা কতটা, তার প্রমাণ চেয়ে অম্বিকার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী সমর দাস।’- এমন অভিযোগ করেন নিহত তরুণীর স্বজনরা।
কলকাতার বরাহনগরের কামারপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, জ্বলন্ত অবস্থায় ছটফট করছেন অন্তঃসত্ত্বা অম্বিকার। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় সোমবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।
নিহত অম্বিকার (২২) বাবার বাড়ি মুর্শিদাবাদে। বিয়ের পর স্বামী সমরের সঙ্গে কামারপাড়ায় থাকছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় নিহত তরুণীর স্বামী সমর দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা অম্বিকার সঙ্গে বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় সমরের। সম্প্রতি স্ত্রীকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিচ্ছিল সমর। তা নিয়ে দুজনের অশান্তিও চলছিল।
অম্বিকার এক আত্মীয় দেবিকা দাসের অভিযোগ, স্বামীর প্রতি ভালোবাসা কতটা, তার প্রমাণ চেয়ে অম্বিকার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সমীরই।
তদন্তকারীদের দাবি, তাদের কাছে এমন অভিযোগ আসেনি। বরং পণের জন্য চাপ, মারধর ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
নিহতের স্বামী সমরের দাবি, স্টোভ ফেটে আগুন লেগেছে। প্রতিবেশীরাই অম্বিকাকে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর৭১/জি: