ভারত-পাকিস্তানকে যে কোনও মূল্যে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

0
277

খবর৭১:পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের বিমান হামলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনায় দুই দেশকেই যে কোনও মূল্যে উত্তেজনা এড়িয়ে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ আহ্বান জানান। পাকিস্তান দুই ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করার পর এ আহ্বান জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে ভারতীয় বাহিনীর অন্তত ৪৪ সদস্য নিহত হয়। পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে ওই হামলা সংঘটিত হয়েছে দাবি করে ভারত। একে কেন্দ্র করে ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে কাশ্মিরের পাকিস্তান অংশে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। পরদিন পরদিন পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে ভারতীয় দুই যুদ্ধবিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করে পাকিস্তানি বাহিনী।

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। উভয়ের সঙ্গে আলোচনাকালেই তিনি উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ওপর জোর দিয়েছেন।

এর আগে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং এক বিবৃতিতে বলেন, চীন চায় ভারত-পাকিস্তান পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখুক। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান দুই দেশই দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাদের উচিত পরস্পরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক এবং ভালো যোগাযোগ রাখা। এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।

লু ক্যাং বলেন, সন্ত্রাসবাদ বিশ্বজুড়েই একটি সমস্যা। এর দমনে আন্তর্জাতিভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিশ্চিত করা জরুরি। দেশগুলোর উচিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা।

চীনের সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সেই কথোপকথনেও চীনের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র মাজা কোচিজানকিক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা উভয় দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ করছি। আরও উত্তেজনা এড়িয়ে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করা দরকার। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকেও দুই দেশের প্রতি একই আহ্বান জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কথিত উপস্থিতি সম্পর্কে পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিপন্ন করে এমন যে কোনও পদক্ষেপ এড়াতে দুই দেশকেই সংযম প্রদর্শন করতে হবে।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here