খবর৭১:ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ভারতের শান্তিনিকেতনে একটি শহীদ মিনার তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বুধবার শান্তিনিকেতনে এক বৈঠকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এ প্রস্তাব দেন তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসির উদ্দীন আহমেদ, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশিষ কুমার সরকার, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফায়জুল লতিফ চৌধুরী, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও এহেসান খান। বিশ্বভারতীর পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় ও নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এতে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ভবনের হস্তান্তর, পরিচালন ব্যবস্থা, রক্ষাণাবেক্ষণ, অবকাঠামোগত পরিবর্তন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিনিকেতন সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজাম্মান নূর বলেন, বাংলাদেশ ভবনের পরিচালনার দায়িত্বভার মে মাসের মধ্যে হাতে তুলে দেয়া হবে। এছাড়া শান্তিনিকেতনে ভাষা আন্দোলনের স্মারক হিসাবে একটি শহীদ মিনার তৈরির আবেদন করা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের মতো শান্তিনিকেতনেও ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ভবন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ভবনে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের স্মারক হিসেবে একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।
এদিকে এ ভবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে তহবিল দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কারণ সারা বছর ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন খরচ ধরে কোটি টাকার বেশি খরচ হবে।
খবর৭১/জি: