ভারতের পার্লামেন্টে শুক্রবার দেশটির বাজেট ঘোষণা

0
284

খবর৭১:ভারতের পার্লামেন্টে শুক্রবার দেশটির বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি অসুস্থ থাকায় বাজেট পেশ করেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বাজেটে মধ্যবিত্ত, সাধারণ চাকুরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী ও কৃষিজীবীদের কর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এতে স্পষ্টতই খুশি খুশি এসব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সর্বনিম্ন করছাড়ের সীমা বছরে আড়াই লাখ রুপি থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ, অর্থাৎ পাঁচ লাখ রুপি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ বাজেটকে নতুন ভারত নির্মাণের বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই বাজেট বাস্তবসম্মত নয়, বরং নির্বাচনমুখী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র দাবি, তিন কোটি টাকার বেশি মধ্যবিত্ত করদাতারা ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা সরাসরি সাশ্রয় করতে পারবেন।

তিনি বলেন, দেশের একটি বড় অংশ আর্থিকভাবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নতিতে সাহায্য করছে।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, তার সরকার সব নাগরিকের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কৃষকদের উন্নতি থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক উন্নতি, আয়কর থেকে পরিকাঠামো, আবাসন থেকে স্বাস্থ্য, অর্থনীতির নতুন গতি থেকে নয়া ভারত গড়া; সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, সরকার করছাড় ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, যাতে কৃষকসহ আম জনতার জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হয়।

তিনি বলেন, দেশে আর্থিক বৃদ্ধির পাশাপাশি, বিজেপি সরকার সবসময় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে। ২০২২ সালে এক ‘নয়া ভারত’ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই বাজেট তৈরি করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে সরকার।

দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির কথা বলতে গিয়ে গয়াল বলেন, ভারত দুনিয়ার ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। গত পাঁচ বছরে একাদশ স্থান থেকে এই জায়গায় পৌঁছেছে দেশ। এর অন্যতম কারণ মোদি সরকারের একাধিক সংস্কার কর্মসূচি।

পীযূষ গয়াল বলেন, ভবিষ্যতের ভারত হবে আরও স্বচ্ছ, সবার জন্য মাথার ওপর থাকবে ছাদ, কৃষকদের আয় হবে দ্বিগুণ।

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে ভারত বিশ্বে একটি গতিশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে উঠে এসেছে।

কর ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ভোট টানার চেষ্টা করেছে সরকার? এমন প্রশ্নের উত্তরে গয়াল বলেন, এ রকম অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। যে কর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা করা হয়েছে সৎ করদাতাদের জন্যই।

পীযূষ গয়াল আরও বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরদিন থেকেই জনগণের জন্য কাজ করে আসছে। নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেয়নি সরকার।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই সরকারের মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র এক মাস বাকি। এরমধ্যে অন্তর্বর্তী বাজেটের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয়। এর কী মূল্য আছে? একেবারেই মূল্যহীন বাজেট। কেন এটা পেশ করা হলো, বুঝতে পারছি না। মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া ওষুধের মতো এটা মেয়াদোত্তীর্ণ বাজেট। সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য এই বাজেট দেওয়া হয়েছে।

খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here