ভর্তিতে জালিয়াতিঃ ঢাবির ৬৯ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার

0
404
ঢাবির ৬৯ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার

খবর৭১ঃ

প্রথম বর্ষ (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি প্রক্রিয়া অবলম্বনের অভিযোগে ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ‌ই শিক্ষার্থীরা ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাময়িক বহিষ্কৃত ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হবে।

এর আগে সিআইডি সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ৯১ জনকে শনাক্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ওই সব শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। এপ্রিলে সিআইডিকে তথ্য দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে চারজনের পরে সম্পৃক্ততা পায়নি সিআইডি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে এবং সুবিধা নিয়েছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. শফিকুল ইসলাম গত ৩০ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, দেড় বছরের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত প্রশ্ন ফাঁস মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরো অনেক তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেছিলেন, জালিয়াতির বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত দুইভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। অন্যটি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে দ্রুত তা সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করে।

বছর দেড়েক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ছয়টি চক্রের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। এসব চক্রের ১২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়, যাদের ৮৭ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) চূড়ান্ত করা হয় বলে জানিয়েছিলেন সিআইডির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

এর আগে একই কারণে ১৫ জনের ভর্তি বাতিল করা হয়। তখন ১৪২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। জালিয়াতি ধরা পড়ার পর গ্রেপ্তার হওয়া রানা, মামুনসহ এক দফায় মাত্র ১৫ জনকে বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here