ব্রেক্সিট অচলাবস্থা কাটাতে জেরেমি করবিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন থেরেসা মে

0
356

খবর৭১ঃ ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ত্যাগের কথা ছিল যুক্তরাজ্যের। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে তৈরি হয় ব্রেক্সিট চুক্তি। কিন্তু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তিন দফায় তা হাউস অব কমন্সে পাস করাতে ব্যর্থ হন। তৃতীয় দফায় চুক্তিটি পার্লামেন্টে তোলার আগে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের তারিখ পরিবর্তন করাতে সমর্থ হন থেরেসা মে। সম্পতি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রেক্সিটের দিনক্ষণ পরিবর্তনে যে সমঝোতায় উপনিত হয়েছিলেন তাতে চুক্তি পাস হলে আগামী ২২ মে আর চুক্তি পাস না হলে আগামী ১২ এপ্রিল ব্রেক্সিট কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।

মে বলেছেন, তিনি করবিনের সঙ্গ কথা বলে ১০ এপ্রিলের মধ্যে পার্লামেন্টে ভোটের আয়োজন করতে চান যে ইইউ কখন ব্রেক্সিট নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসবে।

থেরেসা মে আশা করছেন তিনি ও করবিন মিলে নতুন একটি ব্রেক্সিট চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন এবং এমপিদের সমর্থন নিতে পারবেন। করবিন জানিয়েছেন কাস্টমস ইউনিয়ন ও কর্মীদের অধিকারই তার কাছে সবচেয়ে আগে। অন্যদিকে দুই দলেরই একদল এমপি নোডিল ব্রেক্সিট বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সঙ্গে সাত ঘণ্টার বৈঠক শেষে থেরেসা মে ঘোষণা দেন তিনি করবিনের সঙ্গে দেখা করবেন। একইসঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দেবেন।

থেরেসা মে’র এমন সিদ্ধান্তে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনসহ দলের অন্যান্য নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে করবিন জানান, তিনি খুবই খুশি যে থেরেসা মে অচলাবস্থা কাটাতে নিজের দায়িত্ব বুঝতে পেরেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here