খবর৭১:ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুষ্ঠেয় ব্রেক্সিট ভোট আজ হচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ভোট স্থগিত করার ঘোষণা দেন। এতে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পরিকল্পনা আরও অনিশ্চয়তায় পড়ল।
ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে কমন্সে ভোট কখন হবে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মে কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন, ২১ জানুয়ারির আগেই ভোট হতে হবে। মে সোমবার ভোট পেছানোর ঘোষণা দিয়ে পার্লামেন্টে বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) ভোটাভুটি করলে চুক্তিটি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। আর তাই এ সময়ে হাউজে বিভক্তির পথে পা না বাড়িয়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
এর আগে মন্ত্রীরা তাকে বিলম্বে ভোট গ্রহণের আহবান জানিয়েছিলেন। আগামী সপ্তাহে কিংবা জানুয়ারিতেও এই ভোট হতে পারে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালত বলেছে, ইইউ’র সমর্থন ছাড়াই ব্রিটেন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া থেকে সরে যেতে পারবে।
দ্য ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিজ (ইউসিজে) বলেছে, ইইউর ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের অনুমতি ছাড়াই ব্রেক্সিট বাতিল করতে পারে যুক্তরাজ্য। এক রুলে এ কথা বলেছে ইউসিজে। বিচারকরা বলেছেন, যুক্তরাজ্য সদস্যপদ পরিবর্তন না করেই এটি সম্পন্ন করতে পারে।
এক বিবৃতিতে ইউসিজে বলেছে, যাবতীয় ছেড়ে যাওয়ার চুক্তিতে সম্পৃক্ত না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়া উচিত নয়। দুই বছরের এ প্রক্রিয়ার জন্য ইইউভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রদের অবস্থানে পরিবর্তন আসতে হবে। আদালতের এ রায়ের ফলে যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকার বিষয়ে ‘বাস্তব’ ও ‘কার্যকর বিকল্প’ পথ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর ফলে ভোট দেওয়ার বিষয়ে কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রভাবিত হতে পারেন। যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকতে হলে দেশটির রাজনীতিতে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে। ‘রাজনৈতিক বাস্তবতা’ পরিবর্তনে থেরেসা মের সরকারকেও এজন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
খবর৭১/জি: