খবর৭১:বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) দৃষ্টিতে ২০১৭ সাল ছিল ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর। সংস্থাটির দাবি, গত ১০ বছরে ব্যাংক খাতের ১০টি বড় কেলেঙ্কারিতে লোপাট হয়েছে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতে ঋণের অনিয়ম ও জালিয়াতির বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদদের পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ীরাও। আবার আর্থিক খাত গতিশীল হওয়ার কারণেই মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭.৮৬ শতাংশ। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। ফলে ব্যাংক খাতের দিকে নতুন সরকার আগের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে চাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে ব্যাংক খাতের বাস্তব পরিস্থিতি জানতে চেয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পৃথক দুটি চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে পাঠানো চিঠিতে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বিভিন্ন তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, ব্যাংক খাতের বিভিন্ন ধরনের তথ্য চেয়ে গত ৬ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা অধিশাখা-২ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি আরেকটি চিঠিতে ১২ ধরনের তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ব্যাংক খাত তথা আর্থিক খাত বড় ভূমিকা রাখছে। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গৃহীত এবং গৃহীতব্য কার্যক্রমের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এখন চাহিদানুযায়ী তথ্য প্রস্তুতের কাজ চলছে।
খবর৭১/জি