বেশিরভাগ ইমার্জেন্সি এক্সিটের গেট ছিল তালাবদ্ধ 

0
343

খবর৭১ঃ রাজধানীর বনানীর অগ্নিকাণ্ডে এফ আর টাওয়ারে ও আহমেদ টাওয়ারের বেশিরভাগ ইমার্জেন্সি এক্সিটের গেট তালাবদ্ধ ছিল। যেসব বেসরকারি অফিসের লোকজন নামতে পেরেছিলেন তারা তাদের মালামাল রক্ষার জন্য রুমের গেটসহ জরুরি ভিত্তিতে বের হওয়ার গেটগুলো তালা দিয়ে বেরিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন উদ্ধারকারীদের একজন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এই অগ্নিকাণ্ডের পর সন্ধ্যায় ভবনটিতে কর্মরত ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণকারী এক যুবক কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয় এফ আর টাওয়ারে। এরপর আহমেদ টাওয়ারে নয়তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে আমরা আটজনকে উদ্ধার করতে পেরেছি। সবচেয়ে খারাপ বিষয় সেখানে যেটি ছিল তা হলো প্রতিটি বিল্ডিংয়ের গেটে একাধিক তালা দেওয়া ছিল। এতে মানুষের নামতে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি অনেকে নামতেও পারেনি। এখন দূর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়লে এটাই হবে মূল কারণ।

তিনি আরও বলেন, আমি ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিংপ্রাপ্ত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য। আমি আহমেদ টাওয়ারের জে টি কর্পোরেশনের অফিসের একটি ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ রুমে গিয়েছি তখন আমাকে শ্বাসকষ্টে থাকা অসহায় মানুষেরা বলেছে বাঁচান, বাঁচান! আমি ফায়ার সার্ভিসের যন্ত্রপাতি দিয়ে রুমের থাই গ্লাস ভেঙে সেখানে গিয়ে ফায়ার সেফটির সরঞ্জাম ব্যবহার করেছি। তখনই আমার হাত কেটে গেছে। তারপর তাদের নামিয়ে আনতে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। যার প্রধান কারণ ছিলো ওইসব তালা।

বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের ২২ তলাবিশিষ্ট এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। এ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হয়েছে।

সবশেষ খবর অনুযায়ী, এফ আর টাওয়ারের আগুনের তীব্রতা একটু কমেছে। তবে পুরো টাওয়ার এখনও ধোঁয়াচ্ছন্ন। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here