বেনাপোলে ২ নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে আটক -৬, নারীদ্বয় উদ্ধার

0
299

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি  : বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তে ২ নারীকে গণধর্ষনের অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে ৬ নরপিচাশ ধর্ষককে আটক ও রক্তাক্ত জখমবস্থায় ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করেছেন পোর্ট থানা পুলিশ। এসময় এক ধর্ষক ছেলেকে পালাতে সহযোগিতা করার অপরাধে সাদেক ধাবক নামে আরেক জনকেও আটক করেছেন। আটক সাদেক ধাবক মৃত মোসলেম ধাবকের ছেলে। রবিবার(১০-মার্চ/১৯) বিকেলে তাদেরকে বেনাপোলের পুটখালী গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানালেন পোর্ট থানা পুলিশ।

এদিকে, ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে ৬ ধর্ষণকারিকে আটক করায় পোর্ট থানা পুলিশকে বাহবা দিচ্ছেন এলাকার জনসাধারণ। স্থানীয়রা আটককৃত ৬জনসহ বাকি ধর্ষকদের আটক পূর্বক এই ঘৃণিত কর্মকান্ডের শেষ বিচার হিসেবে ফাঁসির দাবি করেছেন।

আটককৃতরা হলো- বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের সাদেকের ছেলে রাতুল, মৃত আলমের ছেলে সোহেল, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল্লাহ, আজাহারের ছেলে আরিফ, মোরসেদ বিশ্বাসের ছেলে শিমুল ও আয়ুব আলীর ছেলে বিপ্লব।

স্থানীয়রা বলেছেন বহুলালোচিত উক্ত নারকীয় ঘটনার সাথে একই গ্রামের লুকমানের ছেলে রাজ্জাক, কুরবান বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল, বাচা’র ছেলে শাহিন ও রুহুল আমিনের ছেলে নুরুজ্জামান জড়িত ছিল।

জানাযায়, ভারতে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচারের উদ্দেশ্যে শনিবার রাতে উক্ত দুই নারীকে কুষ্টিয়া ও চাঁদপুর জেলা থেকে বেনাপোলের পুটখালী গ্রামে নিয়ে আসে উল্লেখিত ধর্ষক গং। রাতভর একদল নরপিচাশ ঘেনা বিশ্বাসের বাড়ির পাশে মিজানের পুকুর পাড়ে নিয়ে তাদেরকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। অজ্ঞান হয়ে পড়লে ভোরের দিকে শাহ আলম বিশ্বাসের বাড়িতে নিয়ে স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন সেলাইনবস্থায় উক্ত দুই নারীকে উদ্ধার করেন পোর্ট থানা পুলিশ। পরে ওৎপেতে থাকা একদল সুকৌশলী পুলিশ কয়েক ঘন্টার মধ্যে ৬ ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় ছেলেকে পালাতে সহযোগিতা করার অপরাধে এক ধর্ষকের পিতাকেও আটক করেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ধর্ষনের শিকার দুই নারীকে উদ্ধারসহ ঘটনার সাথে জড়িত ৬ যুবককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে একজনকে পলাতক দেখিয়ে ৭ জনের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা শেষে সোমবার সকালে আটককৃতদের যশোর আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here