বেনাপোলে ২০ পিছ স্বর্ণের বারসহ সাদিপুরের সবুজ আটক

0
377

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : বেনাপোলে ২০ (২ কেজি ৩’শ ৪০ গ্রাম) পিছ স্বর্ণের বারসহ সবুজ নামে এক স্বর্ণ পাচারকারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা। সে বেনাপোল পোর্ট থানার স্বর্ণপুরখ্যাত সাদিপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম শহিদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বেনাপোল সীমান্তের স্বর্ণ চোরাচালানী ঘাটখ্যাত সাদিপুর গ্রাম আবারো স্বর্ণ ও ডলার পাঁচারের নিরাপদ রুট হিসেবে এগিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে পুটখালী, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, বড় আঁচড়া, নো-ম্যান্সল্যান্ড ও ঘিবা এলাকা দিয়ে বারংবার স্বর্ণ ও ডলারের চালান আটক করেন চৌকশ বিজিবি ও কাস্টমস গোয়েন্দা সদস্যরা। যেকারণে এসকল সীমান্তের পাশাপাশি সাদিপুর ঘাটকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে আর্ন্তজাতিক মাফিয়া গংয়ের সিন্ডিকেট সদস্যরা।

যেকারণে, এ যাবত আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সকল সদস্যদের নজর পুরাতন কালোবাজারী ও ঘাট এলাকার দিকে থাকায় বারংবার কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে এরা এলাকার পুরাতন কালোবাজারি স¤্রাটদের পরিহার করে নব্য সহজ সরল বা হঠাৎ গর্জে ওঠা টপটেররদের মাধ্যমে স্বর্ণ, হুন্ডি, হেরোইন, ফেন্সিডিল বা সীমান্তের সকল অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যার নজির হিসেবে দেখা যায়, মাত্র কয়েক দিন পূর্বে সাদিপুর গ্রামে একটি হুন্ডির চালানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক তোঢ়পাড় হয়। সেদিন উক্ত ডলারের চালানটি পাসিংম্যান দ্বারা আত্মসাৎ হওয়ায় ক্ষেপে যায় মাফিয়া গংরা। চাপের চোটে সাদিপুর গ্রামের জামাল হোসেন নামে এক পাঁচারকারি যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। পালিয়ে বেড়াচ্ছে জামালের সাথে একই কারবারে যুক্ত থাকা মুক্তার হোসেন, সুজন, মোহন, সেলিনাসহ কয়েক নব্য পাসিংম্যান। যা নিয়ে এখনো এলাকায় গুঞ্জন চলছে। কিন্তু থেমে নেই মাফিয়া গংদের স্বর্ণ ও হুন্ডির মতো বড় ধরণের কারবার। তারা আবারো ম্যান পরিবর্তণ করে কাজে লাগায় সাদিপুর গ্রামের সবুজ গংদের। অবশেষে রবিবার সকাল ৮টার সময় বেনাপোল থেকে ইজিবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় সবুজ মিয়াকে ২০ পিছ স্বর্ণের বারসহ আটক করেন বিজিবির চৌকষ সদস্যরা।

এ বিষয়ে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুল ওহাব বলেন, গোপন সংবাদে জানাযায় ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বেনাপোল বাজার থেকে এক ইজি বাইক চালক স্বর্ন নিয়ে সীমান্তের দিকে আসছে। এসময় নায়েক সুবেদার মনিরুজ্জামান, এর নেতৃত্বে সিপাই রাসেল, সিদ্দিক ও নিয়াজকে সাথে নিয়ে বেনপোল পোর্ট থানার সামনে অবস্থান নেয়। পরে বর্ণণা মোতাবেক ইজিবাইক চালক সবুজের পথ গতিরোধ করি। এরপর তাকে ক্যাম্পে এনে তল্লাশি করে তার শরীর থেকে ২০ পিস ( ২ কেজি ৩’শ ৪০ গ্রাম) স্বর্নের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্নের মুল্য ৯৪ লাখ টাকা।

আটককৃত সবুজকে বেনাপোল পোর্ট থানায় স্বর্ন চোরাচালানি হিসাবে মামলা দিয়ে হস্থান্তর করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ন ও ইজিবাইক বেনাপোল শুল্ক গুদামে জমা করা হবে বলেও জানান তিনি।

খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here