খবর৭১ঃ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক নার্সকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে মহেন্দ্র বিশ্বাস (৩৭) নামের এক দুর্বৃত্ত। গুরুতর আহত ওই নার্স অঞ্জনা রানী শীল (২৫) বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কমলপুর এলাকার মাতৃকা জেনারেল হাসপাতাল (প্রা:) এর সামনে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর হামলাকারী মহেন্দ্র দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে জনতা তাকে ধরে ভৈরব থানা-পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
আহত অঞ্জনাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে বিকেলে তার ভাই সুমন শীল মহেন্দ্রকে আসামি করে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেন।
আহত অঞ্জনা নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চালাকচর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র শীলের মেয়ে। তিনি মাতৃকা জেনারেল হাসপাতালে তিন বছর যাবৎ কর্মরত আছেন। আর হামলাকারী মহেন্দ্র বিশ্বাস হবিগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ছৈইলা গ্রামের মৃত মুকেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ভৈরব শহরের পঞ্চবটি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নার্স অঞ্জনার সঙ্গে মহেন্দ্রর বউয়ের ধর্মবোনের সম্পর্ক। সে হিসেবে প্রায়ই তাদের বাসায় যাওয়া আসা করত অঞ্জনা। এরই মধ্যে মহেন্দ্রর কুনজর পড়ে অঞ্জনার ওপর। বিবাহিত হলেও গত কয়েক মাস আগে সে অঞ্জনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে এতে অসম্মতি জানান অঞ্জনা। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহেন্দ্রর বাসায় যাতায়াতসহ সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি।
সেই ক্ষোভ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে একটি দা নিয়ে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে মাহেন্দ্র। কিছুক্ষণ পর ডিউটি করতে অঞ্জনা হাসপাতালে প্রবেশ করার মুহূর্তে প্রধান গেটের সামনে পেছন দিক দিয়ে কাঁধে দা দিয়ে কোপ দিলে অঞ্জনা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে সে দৌড়ে পালাতে চাইলে উপস্থিত জনতা তাকে ধরে ফেলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেশ রূপান্তরকে মাতৃকা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. কামাল উদ্দিন জানান, অঞ্জনা আহতের খবরে আমরা তৎক্ষণাৎ তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান দেশ রূপান্তরকে জানান, নার্সকে আহতের ঘটনায় অভিযুক্ত মহেন্দ্রকে জনতা ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এই ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
