বিশ্বাসের জ্বলন্ত পতাকা হয়ে সাহিত্যে টিকে থাকবেঃ কবি মোফাজ্জল করিম

0
1146

খবর ৭১ঃ সাবেক সচিব ও হাইকমিশনার শিক্ষাবিদ কবি মোফাজ্জল করিম বলেছেন, মানবতার মুক্তির দূত রাসূল (সা.) এর আদর্শ সর্বকালের মানুষের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অনুপম আদর্শ। তাঁর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই মানুষ শান্তির রাজপথ পেতে পারে। সেই অভিপ্রায় থেকে কাব্যে রাসূল (সা.)-এর আদর্শকে তুলে ধরার জন্যই সম্পাদকের প্রচেষ্টায় সংকলনটি বাংলা সাহিত্যে বিশ্বাসের জ্বলন্ত পতাকা হিসেবে টিকে থাকবে। নতুন প্রজন্মকে তাই মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শকে চর্চার পাশাপাশি বাস্তব জীবনে তাঁর মূর্ত প্রতীক হতে হবে। সাহিত্য রস প্রকাশনীর উদ্যোগে তরুণ গবেষক শামসীর হারুনুর রশীদ সম্পাদিত ‘কাব্যে মহানবী (সা.) ও নিবেদিত কবিতা’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহ সভাপতি গল্পকার সেলিম আউয়ালের সভাপতিত্বে গতকাল রোববার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী, এমসি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান উদ্ভিদবিজ্ঞানী প্রফেসর মো. আজিজুর রহমান লস্কর, অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, দৈনিক সিলেটের ডাকের নির্বাহী সম্পাদক গবেষক আবদুল হামিদ মানিক, লেখক ও গবেষক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, দ্যা সিলেট অ্যালুমিনিয়াম ফেব্রিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বশির আহমেদ তালুকদার, অনুভূতি ব্যক্ত করেন গ্রন্থের সম্পাদক গবেষক শামসীর হারুনুর রশীদ, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি সরওয়ার ফারুকী।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থের প্রকাশক, সাহিত্য রস প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী বিন আরফান। কবি প্রাবন্ধিক মীম সুফিয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইংরেজি দৈনিক দ্যা ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের ডিরেক্টর কবি এম এ হান্নান সেলিম, সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, শাবিপ্রবির অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ সলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, কবি গবেষক সৈয়দ মবনু। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জামেয়া দ্বীনীয়া সিলেট-এর শিক্ষক শাহ সুফিয়ান আহমদ এবং শেষে মোনাজাত করেন জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা, সিলেট-এর মহাপরিচালক মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান। অনুষ্ঠানে সিলেটের সাহিত্য-অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া কবি মোফাজ্জল করিম আরো বলেন, বাংলা সাহিত্যে এরকম একটি সংকলনের চাহিদা ছিল, যা তরুণ গবেষক শামসীর হারুনুর রশীদ তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সফল করেছেন। রাসূল (সা.) এর জীবন সমুদ্র থেকে জ্ঞান আহরণ করে আলোকিত পথের সন্ধান নিশ্চিত এজন্য রাসূল (সা.)-এর চর্চা ভালোবাসার নামান্তর। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব রাসূল (সা.)-এর প্রশংসায় ভরপুর এমন একটি কাব্যসমগ্র আমাদের বিশ্বাসের ভীতকে আরো সুদৃঢ় করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তির জন্য রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। এমসি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান উদ্ভিদবিজ্ঞানী প্রফেসর মো. আজিজুর রহমান লস্কর বলেন, বিজ্ঞানের অপার জ্ঞান সমুদ্র যার কাছ থেকে আহরিত সেই মহানবী (সা.) কে নিয়ে এমন প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবীদার। এর মাধ্যমে আল্লাহ যেন উত্তম জাযা প্রদান করেন।

অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ বলেন, রাসূল (সা.) যেমন মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার, ঠিক তেমনি বাংলা সাহিত্যে এই গ্রন্থটি একটি উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে। যা পাঠে রাসূল (সা.)-এর প্রেমে হৃদয় বিগলিত হবে। দৈনিক সিলেটের ডাকের নির্বাহী সম্পাদক গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এবং কল্যাণকর কাজ রাসূল (সা.) এর প্রশংসা করা, তাঁর আদর্শ মেনে চলা। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মহানবী (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হয়ে থাকে। তাঁর প্রশংসায় এমন কাজ দুনিয়া ও আখেরাতের উত্তম জাযা হিসেবে পরিগণিত হবে।

গবেষক ও লেখক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে রাসূল (সা.)-এর ওপরই সবচেয়ে বেশি গ্রন্থ রচিত হয়েছে। রাসূলের সামগ্রিক জীবন অনুপম আদর্শের মাপকাঠি। তাঁর প্রশংসা এবং ভালোবাসায় সামগ্রিক প্রচেষ্টা মুক্তির জন্য মাধ্যম হতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে সেলিম আউয়াল বলেন, রাসূল (সা.)-এর জীবনাদর্শকে অনুসরণ এবং লেখকরা যদি রাসূলের জীবনাদর্শের প্রচারে আরো বেশি সাহিত্য সাধনায় মনোনিবেশ করেন তবেই তাঁর যথাযথ সম্মান প্রদর্শন হবে। রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করে মূল্যবোধ সম্পর্কীয় সাহিত্য সাধনায় ব্রতী হতে হবে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here