বিলুপ্ত ছিটমহলযুক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘাপলাবাজির অভিযোগ

0
336
Exif_JPEG_420

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাটঃ বিলুপ্ত ছিটমহলযুক্ত প্রকল্পে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘাপলাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা প্রকৌশলী বজলার রহমানের সহযোগীতায় উপজেলা প্রকৌশলী ও মেকানিক্সদের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজের নামে এ হরিলুট কারবার অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি তদন্তের দাবীতে প্রধান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা সদরসহ আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামসহ ৫টি উপজেলাসহ সংযুক্ত বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য “ছিটমহলযুক্ত নামক একটি প্রকল্প” গ্রহন করেছেন সরকার। সম্প্রতি চলতি অর্থবছরে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। জেলা সদরসহ ৫টি উপজেলা ও সংযুক্ত বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য উন্নতমানের পাতকুয়া, গভীর নলকুপ ও স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপন করা পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। সরকার যখন দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর, ঠিক তখনে জেলা প্রকৌশলী বজলার রহমান বিলুপ্ত “ছিটমহলযুক্ত নামক প্রকল্প”টিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে মেতে উঠেছে। প্রকল্পর নিয়ম অনুয়ায়ী কোন কাজ করা হচ্ছে না। তার দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর কারণে সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। জেলা জুড়ে এসব উন্নয়ন কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। কয়েকটি উপজেলায় নামকাস্থ ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে বাকী সবকাজ উপজেলা প্রকৌশলী ও মেকানিক্সদের মাধ্যমে এ হরিলুট কারবার অব্যাহত রয়েছে। কাজ শেষ না হলেও অনেক কাজের বিল উত্তোলন করা হয়েছে। বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীসহ ছিটমহলের বাহিরে স্থাপিত নলকুপের গভীরতাও স্বল্প, পাইপগুলো নমল, নলকুপের হেড ভাংড়ি মাল দ্বারা তৈরিকৃত হেড ব্যবহার করা হয়েছে। সিডিউল অনুয়াযী নলকুপে ৬নং মাথা/হেড আর.এফ.এল/ন্যাশনাল পলিমার/পিসিএল/আজিজ ব্রান্ডের মালামাল ব্যবহার করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। বরং এলাকাবাসীর নিকট থেকে অতিরিক্ত ৭০০/৮০০ টাকা নিয়ে নলকুপ নেয়া হয়েছে। এতে যে টাকা দিতে পারেনি তার ভাগ্য জুটেনি নলকুপ। এছাড়াও পাতকুয়া ও স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপনের কাজের মান নিম্নমানের করা হয়েছে। যা তদন্ত করলে প্রমাণ মিলবে। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বজলার রহমান বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বরাবর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। এবিষয়ে আমার বলার কিছুই নাই। (প্রিয় পাঠক, চোখ রাখুন, আগামী মঙ্গলবার, বিলুপ্ত ছিটমহলযুক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী ও মেকানিক্সদের হরিলুট কারবার নিয়ে থাকছে আরও বিশেষ প্রতিবেদন)।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here