বিরামপুর মুক্ত দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

0
336

মোঃ আবু সাঈদ, বিরামপুর( দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুরের বিরামপুর ৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে যথাযোগ্য মর্যদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৭নং সেক্টরের তরঙ্গপুর কালিয়াগঞ্জ রণাঙ্গনে ২৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। এই সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা উন্নতম বীর সেনানী যথাক্রমে মেজর নজমুল হুদা ও মেজর নুরুজ্জামান।
৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিরামপুর প্রেসক্লাবের ও মিডিয়া পাটনার নিউজ ডায়েরির আযোজনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লুৎফর রহমান শাহর সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান, বিশেষ অতিথি সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার বিরামপুর সার্কেল মিথুন সরকার, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুল, বিরামপুর সরকারি কলেজের অধক্ষ্য ফরহাদ হোসেন, মহিলা কলেজের অধক্ষ্য শিশির কুমার, উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা কাওসার আলী, সাবেক উপাধক্ষ্য শাহাজান আলী, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আকরাম হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক গন উপস্থিত ছিলেন।
তৎকালীন বিরামপুরে দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে আব্দুল করিম, আনোয়ারুল হক, আজিজার রহমান, মজিবর রহমান ও বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার লুৎফর রহমান শাহ্ নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মুক্তিযোদ্ধারা বিরামপুরকে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঘোড়াঘাট রেলগুমটি, কেটরা শাল বাগান, ভেলারপাড় ব্রিজ, ডাক বাংলা, পূর্বজগন্নাথপুর মামুনাবাদ ব্যঙ্কার বসিয়ে সর্তক অবস্থায় থাকতেন। পাকসেনারা ৪ ডিসেম্বর পাইলট স্কুলের সন্মুখে ও ঘাটপাড় ব্রিজে প্রচন্ড শেলিং করে ভাইগড় গ্রাম দিয়ে তীরমনিতে ৪টি শেল নিক্ষেপ করে। লোম হর্ষক ও সন্মুখ যুদ্ধে কেটরা হাটে ১৬ মুক্তিযোদ্ধাসহ ৭ পাক হানাদার বাহিনী নিহত ও শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা আহত ও পগুত্ব বরণ করে। এতে উপজেলার ২০ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, পগু হন ২জন, মারাত্মক ভাবে আহত হন ১৩ জন।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here