বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাব : দেশে ১১.৩ ভাগ অতিদরিদ্র মানুষ

0
259

খবর ৭১: বর্তমানে দেশে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। আর অতিদরিদ্র্যর মানুষের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৮ সালের প্রক্ষেপন অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সোমবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। জরিপ অনুযায়ী দেশের খানা প্রতি মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। ২০১০ সালে ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা।

হাউজহোল্ড ইনকাম এন্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (হায়েস) প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করেন বিবিএসের মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন। এ সময় প্রকল্প পরিচালক ড. দিপংকর রায়, পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম-পরিচালক একেএম আশরাফুল হক উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ দশমিক শুন্য শতাংশ, সেখানে ২০১৬ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে। আর ২০০৫ সালে যেখানে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ দশমিক ১ শতাংশ, সেখানে ২০১৬ সালে তা কমে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে।

খানার আয় ব্যয়, জরিপ অনুযায়ী দেশের খানা প্রতি মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। ২০১০ সালে ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা। মাথাপিছু আয় ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা, যা ২০১০ সালে ছিল ২ হাজার ৫৫৩ টাকা। সর্বশেষ হিসেবে পরিবার ভিত্তিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। ২০১০ সালে যা ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা।

এদিকে, মাথাপিছু আয় ও ব্যয় বাড়লেও খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা কমেছে। বলা হয়েছে, ২০১০ সালে মাথাপিছু ৪১৬ গ্রাম ভাত গ্রহণ করা হলেও এর পরিমাণ নেমেছে ৩৬৭ গ্রামে। ২০১৬ সালে মাথাপিছু গম গ্রহণের প্রবণতা ১৯ দশমিক ৮৩ গ্রামে। ২০১৬ সালের পরিমাণ ২৬ দশমিক ০৯ গ্রাম। মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ২০১৬ সালে ২ হাজার ২১০ কিলোক্যালরিতে নেমে এসেছে। যা ২০১০ সালে মাথাপিছু গড়ে ২ হাজার ৩১৮ কিলোক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করা হতো।

স্বাধীনতার পর থেকে অর্থের বড় অংশ খাদ্যে ব্যয় করা হলেও এবার খাদ্য বহির্ভূত খাতে বেশি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে পরিবারগুলোর গড় অর্থ ব্যয়ের ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় হয়েছে খাদ্যে। এ সময়ে খাদ্যবহির্ভূত খাতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩০ শতাংশে। যা ২০১৬ সালে খাদ্য খাতে ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ ও অন্য খাতে ৪৫ দশমিক ২০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছিল।

কৃষ্ণা গায়েন জানান, ২০০৫ সালে মোট ১০ হাজার ৮০টি পরিবার, ২০১০ সালে ১২ হাজার ২৪০টি পরিবার নিয়ে জরিপ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে নমুনা খানার সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৮০টি করা হয়। এই প্রকল্পের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয় গত ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ব দারিদ্র্য নিরসন দিবসে। তিনি বলেন, চলতি মাসেই এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন বই আকার প্রকাশ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here