খবর৭১: নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স বিমানের যাত্রীদের মধ্যে গাজীপুরের নগরহাওলা গ্রামের একই পরিবারের পাঁচ সদস্য ছিলেন। বিমানে থাকা ফারুক আহমেদ প্রিয়কের (৩২) মা ফিরোজা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই বিমানে থাকা একই পরিবারের পাঁচজন হলেন, উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ প্রিয়ক (৩২), তার স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি (২৫), তাদের একমাত্র সন্তান তামাররা প্রিয়ক (৩), নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান মাসুম (৩৩) ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা আক্তার (২৫)।
ফারুক পেশায় একজন ফটোগ্রাফার। আর মেহেদী হাসান পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। ফারুক ও মেহেদী হাসান সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।
ফারুকের মা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘দূর্ঘটনার পর একমাত্র শিশুকন্যা তামাররাকে ছাড়া পরিবারের সবাইকে টিভিতে দেখতে পেয়েছি। তারা সবাই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নেপাল যাচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানের ৫০ আরোহীর প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে নেপালের সেনাসূত্র। ৯ জন নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে তারা।
নেপাল টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, ৭৮ জনকে ধারণে সক্ষম ওই বিমানে চার ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিল। বিমানের ৩২ আরোহী বাংলাদেশি এবং ৩৩ জন নেপালি।
খবর৭১/এস: