বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য রাণীনগরে তৈরি হচ্ছে সাব-ষ্টেশন

0
298

সুকুমল কুমার প্রামানিক রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর এলাকায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে পল্লী বিদ্যুতের সাব-ষ্টেশনের কাজ চলেছে। এ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করে আগামী মাসেই ষ্টেশনটি চালু করা হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। ষ্টেশনটি চালু হলে প্রায় ২২ হাজার গ্রহক সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাবে। একদিকে যেমন লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষা পাবে তেমনি লোড শেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে উপজেলার অর্ধ লক্ষাধীক গ্রাহক।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের বর্তমানে গ্রাহক ৫০ হাজার ৩ শত। গ্রাহক গুলোর জন্য রাণীনগর উপজেলার চকমুনু সাব-ষ্টেশন থেকে পুরো রাণীনগর উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। উপজেলার কোথাও ঝড়-বৃষ্টির কারনে গাছের ডাল ভেঙ্গে অথবা কোন সমস্যা দেখা দিলে ষ্টেশনটি বন্ধ রেখে কাজ করতে হয়। এতে করে পুরো উপজেলাবাসী ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে পরে। ফলে নানা রকম কাজকর্ম নিয়ে ভোগান্তিতে পরেন গ্রাহকদের।

এছাড়া অধিক দুরত্ব থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় লো-ভোল্টেজের সমস্যাসহ অনাকাংখিত লোডশেডিংয়ে পরে গ্রাহকরা। ফলে বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সেচসহ নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হয় বিদ্যুৎ চালিত গভীর-অগভীর নলকূপ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে। বর্তমান সরকার এর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এই শোগানকে সামনে রেখে উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করায় শুধু মাত্র একটি সাব-ষ্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রাহক সেবার মান অনেকটায় ভেঙ্গে পরে। গ্রাহকদের দোরগোরায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এবং সেবার মান উন্নয়নে স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলম এর একান্ত প্রচেষ্টায় ১০ মেগাওয়াড ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি সাব-ষ্টেশন কাজের জন্য প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। আবাদপুকুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের একটি সাব-ষ্টেশন নির্মান করার জন্য জমি ক্রয় করে গত জানুয়ারী মাসে কাজ শুরু করা হয়।

রাজশাহী ডিভিশনাল প্রজেক্ট-২ (আর আর ডি পি-২) এর আওতায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে সরকারী অর্থায়নে নির্মান কাজ শুরু হয়। ইতি মধ্যে নির্মান কাজ বেশ এগিয়েছে। তবে আগামী মাসে ষ্টেশনটি চালু করার লক্ষে খুব দ্রুত গতিতে কাজ করছেন সংলিষ্টরা। ষ্টেশনটি চালু হলে রাণীনগরের চকমুনু ষ্টেশন থেকে চারটি এবং আবাদপুকুর ষ্টেশন থেকে কালীগ্রাম, পারইল, একডালা ও বড়গাছা ইউনিয়নের জন্য চারটি ফিডারে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। তবে চকমুনু ষ্টেশন থেকে আবাদপুকুর সাব-ষ্টেশন অনেক অন্নত বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। এতে একদিকে যেমন লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে অন্য দিকে মেইন লাইনে লোড শেডিং ছাড়া কোন লোড শেডিং থাকবে না। ফলে সব সমই নিরবিচ্ছিন্ন কাংখিত মানের ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবেন গ্রাহকরা। এতে করে উপজেলার অর্ধলক্ষাধকি গ্রাহক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।

এব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো: আসাদুজ্জামান বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো: ইসরাফিল আলম এর একান্ত প্রচেষ্টায় প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায়ে উপজেলার আবাদপুকুর এলাকায় ১০ মেগাওয়াড ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সাব-ষ্টেশন নির্মান করা হচ্ছে। এ মাসেই কাজ শেষ করে আগামী মাসেই ষ্টেশনটি চালু করার লক্ষে খুব দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। ষ্টেশনটি চালু হলে উপজেলার সব গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবেন।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here