খবর৭১: রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থিত তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি’র (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে সংগঠনটির সময় চেয়ে করা আবেদনের ওপর আদেশ হবে আগামীকাল সোমবার (০১ এপ্রিল)। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বিভাগের এ দিনের কার্যতালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে মামলাটি।
এক বছরের সময়ের আবেদন গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যতে ভবন ভাঙতে আর সময় চাইবে না বলে গত ২৮ আপিল বিভাগে মুচলেকা দাখিল করে বিজিএমইএ। তবে এই মুচলেকা অস্পষ্ট হওয়ায় বিজিএমইএ’র আইনজীবী তা সংশোধন করে দিতে আদালতের কাছে সময় চান। আদালত সোমবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিলেন। এই সময়ের মধ্যে বিজিএমইএ’কে সংশোধিত মুচলেকা জমা দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী মামলাটি ফের সোমবারের কার্যতালিকায় এসেছে।
গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে কর্তৃপক্ষকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
এরপরও বিজিএমইএ ফের আবেদন করায় পুনরায় ছয় মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালত এই আদেশ দেন। আদালতের ওই সময় মঞ্জুরের পর এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। ভবন ভাঙতে ভবিষ্যতে আর সময় চাইবে না—এমন মুচলেকা দিতে ২৫ মার্চ বিজিএমইএকে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে বলা হয়, এমন মুচলেকা পেলে এক বছর সময় চাওয়ার আবেদন আপিল বিভাগ বিবেচনা করবেন।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে ১৬ তলার বিজিএমইএ ভবনকে ‘একটি ক্যানসার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এটি ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়।
খবর৭১/এস: