বিজিএমইএর মুচলেকা আবেদনে ভুল থাকায় আদেশ সোমবার

0
298

খবর৭১: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে কর্তৃপক্ষের দেওয়া মুচলেকা আবেদনে ভুল থাকায় তা সংশোধন করে পুনরায় দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে শেষবারের মতো এক বছরের সময় চেয়ে লিখিত মুচলেকা দেন বিজিএমইএর বর্তমান পরিচালনা পরিষদ। লিখিত মুচলেকায় বলা হয়, ‘এর পর আমরা আর সময় চাইব না।’

আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মঞ্জিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গতকাল মঙ্গলবার ‘আর সময় চাইবেন না উল্লেখ করে মুচলেকা দিলে বিজিএমইএ ভবন সরাতে সময় দেবেন’ মর্মে শর্ত দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

গত ২৫ মার্চ বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বিজিএমইএ’র আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

এর আগে গত ৫ মার্চ ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেছিলেন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল ২০১৬ সালের ২ জুন খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘বেগুনবাড়ি খাল’ ও ‘হাতিরঝিল’ জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচ আবেদনকারীর কাছ থেকে আদায় করবে তারা। এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ রিভিউ (পুনর্বিবেচনা আবেদন) করলেও তা গত বছরের ৫ মার্চ খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here