বিচারের জন্য ধারে ধারে ঘুরছেন ৬ মাসের অন্তসত্বা কিশোরী

0
230

খবর ৭১ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার চরফ্যাশনের নীলকমল ইউনিয়নের ৬মাসের অন্তসত্বা ভিকটিমের ধর্ষককে বাচাঁতে নাটক করছেন আওয়ামীলীগ নেতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার। বিয়ের নাটক সাজিয়ে ৬ মাস ১২বছরের ভিকটিমকে আটকিয়ে রেখে ধর্ষণের আলামত নষ্টের চেষ্টা করেছেন ওই চেয়ারম্যান।
স্থানীয়সুত্রে জানাযায়, চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নীলকমল ইউনিয়নে কাজল ফরাজীর ছেলে মিঠুন ধর্ষণ করে একই ইউনিয়নের শাহাবুদ্দিনের ১২বছরের মেয়েকে। মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাইতে ধর্ষিতার মা ও বাবা চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের কাছে গেলে চেয়ারম্যান নানা অজুহাতে ভিকটিমের বাবা মা কে বিচারের কথা বলে ঘুড়াতে থাকে। অনেকদিন ধরে ভিকটিমকে চেয়ারম্যানের হেফাজতে রেখে ধর্ষণের আলামত নষ্টের চেষ্টা করেছেন বলেও ভিকটিমের আত্বীয় স্বজন জানান। কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ভিকটিমকে মেডিকেল পরিক্ষায় অন্তসত্বার পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর চেয়ারম্যান ফের নাটক শুরু করেন। এবার মিথ্যা কাজী ও হুজুর সাজিঁয়ে ৩লাক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ের আয়োজন করে ১২বছরের ধর্ষিতার। এর কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ধর্ষক মিঠুনকে কৌশলে চট্রগ্রাম পাঠিয়ে দিয়ে ফের বিচারের নামে নানা তালবাহানা করতে থাকে চেয়ারম্যান। এক পর্যায়ে ভিকটিমের বাবার কাছ থেকে ৫৫হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। ৬মাস পর গতকাল বুধবার চেয়ারম্যানের হেফাজত থেকে পালিয়ে ভোলায় এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ভিকটিম ও তার পরিবার।
ভিকটিমের বাবা শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী ধর্ষণের বিচার চাইতে চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের কাছে একাধিবার গিয়াছি। তারা বিচারের নামে আমার কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছে। মোটা অংকের টাকা খেয়ে ধর্ষক মিঠুনকে কৌশলে চট্রগ্রামে পাঠিয়ে দেয় চেয়ারম্যান।
ভিকটিম বলেন, ৬মাস আগে আমাকে ধর্ষণ করে মিঠুন। আমি ও আমার মা ধর্ষণের বিচার চাইতে চেয়ারম্যানের কাছে গেছি। চেয়ারম্যান বিচার করবে বলে ৬মাস আমাকে আটকিয়ে রাখে। পরে বুধবার আমি পালিয়ে এসেছি।
এবিষয়ে নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীগ হাওলাদার জানান, আমি একটি বিয়ের আয়োজন করেছি। আমার কথা ছেলে শুনেনি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here