বিএনপি গর্তের দিকে চলে যাচ্ছে: হানিফ

0
537

খবর৭১ঃ বিএনপি গর্তের দিকে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

রবিবার (২৪ মার্চ) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর কাউন্সিল হলে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘ইনোভেশন এন্ড কমেরসিয়ালিজটিও ইন ৪র্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলুশন : বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপির শীর্ষ পযায়ের নেতারা দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের কারণে কারাগারে এবং দেশের বাইরে পলাতক। নেতৃত্বহীন এই দল। ব্যর্থ, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ নেতাদের দিয়ে আর যাই হোক সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। যার কারণে বিএনপি নামক দলটি আজকে অন্ধকারের গর্তের দিকে চলে গেছে। তারা আজকে রাস্তায় নেই। তারা রাস্তা হারিয়ে অন্ধকার গর্তের দিকে চলে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে বিএনপি-জামায়াতের মতো নেতিবাচক রাজনৈতিক দল না থাকতো, তাদের কর্মকাণ্ড না থাকলে আমরা দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম। আজকে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা, সরকারের প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ভালো কাজকে বাধাগ্রস্ত করে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করাই হচ্ছে এই দলটির কাজ। আজকে তারা একটি দিশাহীন রাজনৈতিক দল হয়ে গেছে। নেতা সঠিক যদি না থাকে, নেতৃত্ব যদি সঠিক না থাকে তাহলে সেই দল বা দেশ কখনো ভালোভাবে এগুতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে বলতে চাই, আপনারা নির্বাচনে অংশ নেন নাই কেন? আপনারা নির্বাচনে অংশ নিলেই তো ভোটের কাস্ট আরও বেড়ে যেতো। আপনারা চান অধিক সংখ্যক ভোটার আসুক আবার নির্বাচনে অংশ নেবেন না। আপনারা একদিকে বলেন আইনের শাসনের কথা, আরেকদিকে যখন আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে থাকেন আপনারা তখন বলেন তাকে মুক্ত করা হবে। আপনাদের আসলে কথা এবং কাজের মধ্যে মিল নেই। কী চান আপনারা সেটা নিজেরা জানেন না। আইনের শাসন বলবেন আবার বিচার হলে বিচার মানবেন না- এই ধরণের দ্বৈত নীতি থেকে সরে আসতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথা বলে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। আমাদের দেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। জনগণ এখন এই ধরণের সন্ত্রাসের, এই ধরণের দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্বের কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে ভোটের সংখ্যা আরও বাড়তো বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি পশ্চিমা দেশে কোন নির্বাচন আছে যেখানে ১২ শতাংশ ১৫ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হয়? ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হলে তাদের ওখানে অনেক ভোট হিসেব করা হয়। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনমুখী সেহেতু এখানে ভোট কাস্টিংটা একটু বেশি হয়। সেই হিসেবে ৪৫ শতাংশ যথেষ্ট। ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি থাকলে একটা স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। তবে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে ভোটের সংখ্যা বাড়তো।’

হানিফ বলেন, ‘আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা ওঠে। যেমন ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে অনেক কথা উঠছে। আমাদের ইলেকশন কমিশন বলেছেন, ইভিএম পদ্ধতি চালু করবেন। আমরা কিন্তু ইভিএম পদ্ধতি চালু করতে বলেছিলাম। কেন বলেছিলাম? বাংলাদেশে যদি গত ১০০ বছরের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রত্যেকটা নির্বাচনের পরেই পরাজিত প্রার্থী বা পরাজিত দল অভিযোগ করে, ব্যালট পেপার জাল, ব্যালট পেপার চুরি হয়- এই ধরণের অভিযোগ কিন্তু সব সময় উত্থাপন করে আসছে। যদি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হতো এসব অভিযোগ উঠতো না। ইভিএম পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই। বিএনপির দেউলিয়াত্ব ও রাজনৈতিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণেই বিএনপি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়ার বিরোধিতা করেছে।’

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হোসেন মুনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন আইইবি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here