বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকটের লক্ষণ টের পেয়েছেন কাদের

0
243

খবর৭১: দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজার রায়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট ঘণীভূত হওয়ার লক্ষণ টের পেয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

রায়ের পরদিন শুক্রবার গাজীপুর সফরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার রায়ের পর বিএনপির পক্ষ থেকে করা সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম জিয়ার সাজার রায় দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও ঘণীভূত করবে।

এই বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই রায়ের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংকট ঘণীভূত হবে না, বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট ঘণীভূত হবে। সেটার লক্ষণ আমরা টের পাচ্ছি।’

সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাসে র‌্যাপিড বাস ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে যান মন্ত্রী। এ সময় তার কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলার রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।

বিএনপির অভিযোগ, সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দিয়েছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘এই মামলা তো সরকার করেনি, সরকারের কোনো হস্তক্ষেপও নেই। বেগম জিয়া যদি নিয়মিত হাজিরা দিতেন তবে এ মামলার অনেক আগেই রায় হয়ে যেত। এখন তিনি নিজেই দেরি করে নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এজন্য বেগম জিয়া ও তার বিজ্ঞ আইনজীবীরা দায়ী। তা না হলে মামলাটি ১০ বছর কেন চলবে?’।

খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ায় বিএনপির নেতৃত্ব এখন তার বড় ছেলে লন্ডনে অবস্থানকারী তারেক রহমানের হাতে। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাজা হয়েছে তারেকেরও। তার সাজা হয়েছে ১০ বছরের কারাদ-। বিদেশে অর্থপাচারের মামলায় তারেক রহমান সাত বছরের কারাদন্ড

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যার আগে সাত বছরের সাজা হয়েছে, মানি লন্ডারিংয়ে তিনি দ-িত ব্যক্তি। এ মামলায় তার ১০ বছরের দ- ও দুই কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে কেন ৭ ধারা তুলে দিয়েছে তা এখন তো পরিস্কার। দুর্নীতিবাজরা তাদের নেতা হতে বাধা নেই।’

গাজীপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত সড়কে বাস চলাচলের জন্য আলাদা লেনের প্রকল্প বিআরটি প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘এই কাজে একটু ধীরগতি হয়ে গেছে। চায়নিজ কোম্পানি কাজটি পেয়েছে। তবে যেভাবে করা দরকার তারা সেটি করতে পারেনি।’

‘প্রকল্পের আওতায় এখন ড্রেনেজের কাজ চলছে। পরে এখানে পাঁচটি ফ্লাইওভার হবে। ইতোমধ্যে সেতু বিভাগ টঙ্গী বাজারে ফ্লাইওভারের কাজের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’

এ সময় সড়ক বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএকেএন নাহিন রেজাসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here