বিএনপির অনেক নেতা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত: ওবায়দুল কাদের

0
276

খবর ৭১:‘সদ্য গঠিত বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনেক নেতা মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে’ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার দুপুরে শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ‘খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না’- দলটির নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, ‘সংবিধান এবং নির্বাচন কারও জন্য থেমে থাকবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির কাজ শুধু আওয়ামী লীগ ও সরকারের দোষ খুঁজে বের করা। দেশে আরও সমস্যা আছে সেদিকে তাদের নজর নেই। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন আর জামিন না পেলে স্বাধীন নয়, এটাই বিএনপির রাজনীতি।’
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির উদ্দেশ্য শুধু আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করা নয়, তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করাও। এজন্য আমাদের যা করার দরকার করবো। বিএনপি কখনও মাদক-সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলে না। মাদক সুনামিতে দেশ ধ্বংস হচ্ছে এটা দেখার দায়িত্ব কী শুধুই আওয়ামী লীগের! বিএনপি নেতারা এ বিষয়ে নিশ্চুপ। একমাত্র আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সোচ্চার ভুমিকা রেখেছেন।’

বিএনপিকে মনে রাখতে হবে রাজনীতি মানে শুধু প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গলাবাজি করা নয় বলেও মন্তব্য করেন কাদের।

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর জুরাইনে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণাধীন কাজ পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে ঈদ যাত্রা ভালো হবে। সড়কের কারণে কোনো যানজট হবে না। এটা অন্য কারণে হতে পারে। ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন গাড়ির জন্য হতে পারে। রাস্তায় রেষারেষি, প্রতিযোগিতা, কার আগে কে যাবে সে কারণে হতে পারে। রাস্তায় গাড়ি বিকল হয়ে আছে সেজন্য হতে পারে।

তিনি বলেন, রং সাইড দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধে আমরা কয়েকটি মিটিং করেছি। অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এবারের মতো মিটিং আর কখনো করিনি। এ বিষয়গুলো সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারলে যানজটও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

এসময় সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা টু ভাঙ্গা বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এক্সপ্রেসেওয়ের কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। এই এক্সপ্রেসওয়েটি হবে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত। মাওয়ার পর নদীর পার হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত।

তিনি বলেন, আশার বিষয় হচ্ছে সেনাবাহিনী এ সড়কে সাফল্য দেখিয়েছে। তাদের কে আমরা যে কাজ দেই তারা তা নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শেষ করে। বৃষ্টির কারণে এ রাস্তায় আর যানজট দেখা দেবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here