খবর৭১ঃ একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সংলাপে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রে অংশ নিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের দক্ষিণ লনের সবুজ চত্বরে এ চা-চক্র ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
তবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এই চা-চক্রে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর নেতারা। গতকাল শুক্রবারই ঐক্যফ্রন্ট এই চা-চক্রে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে এই চা-চক্রে দুপুরের পর থেকেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে রাজনীতিকদের মিলমেলায় পরিণত হতে শুরু করে গণভবন প্রাঙ্গণ।
এর পর বিকেল ৪টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে সহাস্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। চা-চক্র চলে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত। পরে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আয়োজিত চা-চক্রে দলীয় রাজনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন খসরু।
বিরোধী দলের রাজনীতিকদের মধ্যে ছিলেন- সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, জাপা নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ (আম্বিয়া) নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল, নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদোজ্জা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) এমএ মান্নান, মাহী বি চৌধুরী এবং শমশের মবিন চৌধুরী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ১৪ দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এর আগেই পুরো অনুষ্ঠানস্থলকে আবহমান বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্যের সাজে সাজানো হয়। বাজানো হয় দেশের গান।
চা-চক্রে অতিথিদের ফুচকা, চটপটি, পাঠিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, জিলাপি, কাবাব-রুটি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল, জুস, চা-কফিসহ বাঙালি ঐতিহ্যের নানা খাবারও পরিবেশন করা হয়।
শেষ মুহূর্তে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ প্রধানমন্ত্রী।
খবর৭১/এসঃ