বাহুবলে এক কিলোমিটার সড়কের জন্য বিশ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে

0
198

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের বাহুবলে এক কিলেমিটার সড়কের জন্য যুগযুগ ধরে বিশ গ্রামের অন্ততঃ ৩০-৩৫ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে চলাচল করে আসছে। প্রতি বছর এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এলাকার শতশত শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার লোকজনের কাঁদাযুক্ত সড়কে এমনকি শুকনো মৌসুমেও পায়ে হেটে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় এমপিসহ জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহু আবেদন-নিবেদন করার পরও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের আওতাভূক্ত বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের লস্করপুর থেকে ফদ্রখলা হয়ে মিরপুর বাজারের এক ঢালা সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এই সাত কিলোমিটার দুরত্বের সড়কটি রাউদগাঁও, কালুটুলা, ফদ্রখলা, কুটান্দর, কাইথপাড়া, লাকড়িপাড়া, ফরিদপুরসহ বিশ গ্রামের এলাকা থেকে হট-বাজার, স্কুল-কলেজ, উপজেলা সদর ও জেলা সদরের যাওয়ার একমাত্র সড়ক। উক্ত সড়কের পূর্ব দিক তথা মিরপুর বাজার সংযোগ থেকে দুই কিলোমিটার জায়গা পাকাকরণ হয়েছে দীর্ঘদিন আগেই। আর পশ্চিম দিক থেকে শায়েস্তাগঞ্জ তথা জেলা সদরের সাথে সংযোগের লস্করপুর রেলগেইট থেকে সড়কে তিন কিলোমিটার পরিমান জায়গা পাকাকরণ হয়েছিল প্রায় দশ বছর আগেই। সড়কের দুই পাশ থেকে পাঁচ কিলোমিটার পরিমান জায়গা পাকাকরণ হলেও মধ্যবর্তী এক কিলোটিার জায়গা কাঁচা সড়ক থাকার কারণে সেই যুগযুগ ধরেই কোন রকম সুবিধা ভোগ করতে পারেননি এলাকাবাসী। ঐসড়ক দিয়ে বছরে ছয় মাস করে কোন রকম যানবাহন গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে পারেনি।ফলে এলাকার বিশ গ্রামের শতশত শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ কাঁদাযুক্ত সড়ক দিয়ে বছরের পর বছর পায়ে হেঁটে চরম দূর্ভোগে চলাচল করছেন। এমনকি শুকনো মৌসুমেও সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ওই এলাকার গর্ভবতী মহিলাসহ অসুস্থ মানুষের হাসপাতালে আসা-যাওয়ায় মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে এলাকার সাধারণ লোকজন স্থানীয় এমপিসহ জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার আবেদন করার পরও কোন কাজে আসছেনা।মনিরুজ্জামান রুমেল নামের এক ভোক্তভোগী জানান, বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে যানবাহনতো চলাচল করেইনা এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাটাও মারাত্মক কষ্টস্বাধ্য। এছাড়া শুকনো মৌসুমে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টির কারণে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করেনা। ফলে আমাদের সীমাহীন দূর্ভোগে প্রতিদিন এক কিলোমিটার জায়গা পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে হয়।উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী মো. আলফাজ হোসেন জানান, এমপি সাহেবের ডিও লেটারের মাধ্যমে এই এক কিলোমিটার সড়কের অনুমোদন অনেক আগেই আমরা পেয়েছি কিন্ত টেন্ডারের আদেশ পাইনি। তবে তিনি কবে নাগাদ এই আদেশ পাবেন তা কিছুই বলতে পারেননি।
মঈনুলহাসান রতন
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here