বাসে হাত-পা ঝুলে থাকবে, বিচ্ছিন্নের দোষ ড্রাইভারের হতে পারে না

0
222

খবর৭১: রাস্তাপারাপারে ট্রাফিক রুল সবাইকে শিখতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাস্তা দিয়ে হঠাৎ দৌঁড় মারবে আর রাস্তায় অ্যাকসিডেন্ট হয়ে গাড়ির ড্রাইভারকে মারবে সেটা তো হয় না। বাসে চালাচলের সময় হাত, পা ও মাথা ঝুলিয়ে বসে থাকবে। পরে হাত বিচ্ছিন্ন বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে দোষ বিআরটিসি ও ড্রাইভারের হবে তা হতে পারে না। প্রত্যেকটা জিনিস ব্যবহারের নিয়ম-কানুনটা মানতে হবে। যারা সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমরা এর জন্য দুঃখিত। মা-বাচ্চার হাত ধরে চলন্ত গাড়ির সামনে দৌঁড় মারবে এটা কেমন ধরনের কথা। কাজেই ট্রাফিক রুল এটা সবাইকে শিখতে হবে।’

শুক্রবার (১১ মে) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রাস্তায় চলাচলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাস্তায় চলার সময় কোনো কিছু খাওয়ার কাগজ বা খোসা ফেললাম এখানে-ওখানে, একটা পানির বোতল ফেললাম। এটা কেমন কথা? কেনো এই ইনডিসিপ্লিন। যে যেখানে থাকবেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। কারণ আপনার ফেলে দেয়া জিনিস অন্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কথাটা সকলকে মনে রাখতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আমাদের ধর্মেও বলা আছে। আমাদের দেশটাকে আমরা সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে চাই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা যে সম্মান পেয়েছি সেটা ধরে রাখতে চাই।’

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। জাতির পিতার যে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে আমরা সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে স্বল্প উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছি। ১৭টি দেশকে পেছনে ফেলে আমরা এ অবস্থানে এসেছি। সারা বিশ্ব অবাক হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত হবে বাংলাদেশ।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘আমার বাবা এদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমরা ক্ষমতা এসেছি মানুষের ভাগ্য গড়ার জন্য, নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়। সম্পদও গড়তে আসেনি। সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছি। তাই বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করতে পেরেছিলাম। সততার সঙ্গে ছিলাম বলেই বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলাম তোমরা প্রমাণ করো দুর্নীতি হয়েছে। আমি আরও বলেছিলাম, আমরা আমাদের অর্থেই পদ্মা সেতু করবো। কত মানুষ টাকা পাঠিয়েছে বিদেশ থেকে। বলেছে, আপা আপনি করেন যা লাগে আমরা দেবো। এটা কেনো হয়েছে? সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছি বলেই সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের জীবন যাত্রায় উন্নয়ন হয়।’

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ প্রথম দিনে সফল না হওয়া প্রসঙ্গও আসে প্রধানমন্ত্রীর কথায়। তিনি বলেন, ‘মাত্র ৪৬ সেকেণ্ড বাকি থাকতে বন্ধ হয়ে গেল। এটার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যান্ত্রিক ত্রুটিসহ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেন। আমরা যে আকাশও জয় করেছি, এটার জন্য কেউ যেনো মন খারাপ না করে। মন খারাপ আমারও হয়েছিলো। কিন্তু যেটা হয়েছে সেটা স্বাভাবিক।’
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here