বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুলটি এখন মরণ ফাঁদ

0
496

বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের এসপি বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুলটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল দশা। পুলটির বর্তমান যে অবস্থায় আছে তাতেই প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটেই চলছে। ওই এলাকার জন প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজর না দেয়ায় এলাকার কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ এবং শতাধীক কোমল মতি শিক্ষার্থী সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ছেলে মেয়ে এবং শিক্ষক রা প্রতিদিন ই জীবনের ঝুকি নিয়ে এই ভাঙ্গাপুল পারহয়ে স্কুল কলেজ ও বাজার ঘাটে আসা যাওয়া করতে হয়। প্রথমিক সহ স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী এই মরণ ফাঁদ পার হয়ে তাদেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতেহয়। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার লোক জনদের। যে কোন সময় পুলটি ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে জীবন নাশের মত বড় ধরণের যে কোন দূর্ঘটনা।
এলাকার লোক জনের কাছে খোজ খবর নিতে জানায়, উপজেলা উত্তর সুতালড়ী-বারইখালী সংযোগ খালের এ জনগুরুত্বপূর্ণ পুলটি দীর্ঘ বছর ধরে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এ পুলের দুই পাড়ে রয়েছে, পীর হিসেবে খ্যাত মরহুম খোড়া হাফেজ সাহেবের মাদ্রাসা ও এতিমখানা, রয়েছে ১১৪ নং এসপি বারইখালী সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়, বিএসএস দাখিল মাদ্রাসা, জোমাদ্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ভিত্তিক ইসলামী পাঠাগার, জোমাদ্দারপাড়া বাজার। মাদ্রাসা ও স্কুলের শত শত শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরা এ পুল দিয়ে। কতৃপক্ষের দৃষ্টি অকর্ষনের জন্য এসপি বারইখালী প্রাথমকি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা ফারজানা বিথী ঝুঁকিপূর্ণ পুলটি ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তিনি তার স্ট্যাষ্টাসে লিখেছেন,“ আমি সাঁতার না জানায় হয়তো সলিল সমাধি আমারই হবে”। তার এ স্ট্যাষ্ট্যাসটি এলাকার বিকেবান মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছে। বারইখালী ও উত্তর সুতালড়ী গ্রামের যোগাযোগের উন্নয়ন ও দুই পাড়ের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য বছর পাঁচ আগে এ পুলটি নির্মান করা হয়। এর আগে এলাকার শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ বাঁশের সাকো দিয়ে বছরের পর বছর দুই পাড়ের যোগাযোগ সচল রাখার চেষ্টা করছিল। পরে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বারইখালী বড় খালের একটি পুরাতন পুলের যন্ত্রাংশ দিয়ে এ পুলটি নির্মান করা হয়। পুরাতন যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরী এ পুলটি একাধিকবার ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক সহায়তায় সংস্কারের কাজ ও হয়েছে। কিন্তুু বর্তমান পুলটি সংষ্কারের পর্যায় নেই। প্রয়োজন নতুন পুলের। বিএসএস দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. ওহিদুজ্জামান জানান, বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাঙ্গা পুলটি নিয়ে একাধিক পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন। বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল বলেন, পুলটি এখন সংষ্কার না করে নতুনভাবে নির্মান করা একান্ত আবশ্যক।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here