খবর৭১: নতুন করে ভারতীয় সেনাবাহিনী মাত্র আড়াই লাখ আধুনিক অ্যাসাল্ট রাইফেলের অর্ডার দেবে। এটা তাদের প্রয়োজনের তিনভাগের একভাগ। বাজেট সংকটের কারণে এবং দ্রুত ডেলিভারি পেতে এই পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়েছে।
ভারতের ১৩ লাখ জওয়ানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন ছিল আট লাখ রাইফেল, যার মূল্য প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার।
ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পদাতিক সেনা রয়েছে সাড়ে চার লাখ। এরমধ্যে মাত্র অর্ধেক স্থল যুদ্ধে অংশ নিয়ে থাকে যাদের প্রাথমিক অস্ত্রই হলো রাইফেল। বাকিরা সহায়তাকারী সেনা।
পদাতিক সেনারা কাশ্মীর সীমান্ত এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হতাহতের সম্মুখীন হয়। তাদের হতাহতের হার কমাতেই সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের জন্য ২৫০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিকল্পনার অধীনে দেশের বাইরে থেকে নতুন সরঞ্জামাদি কেনার কথা। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অধীনে সামরিক বাহিনী দেশে তৈরি সরঞ্জামাদির প্রতীক্ষায় থাকার কারণে এই পরিকল্পনা হোচট খেয়েছে।
চলতি মাসের শেষের দিকে একটি স্কাউটিং টিম বিভিন্ন রাইফেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সফর করবে। এদের মধ্যে রয়েছে কোল্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এলএলসি, ইটালির ফ্যাব্রিকা ড’আরমি পিয়েট্রো বেরেট্টা এস.পি.এ, সুইস সিগ সাউয়ের ইনকর্পোরেশান, চেক প্রজাতন্ত্রের চেসকা ব্রোজোভকা এবং ইসরাইল উইপোন্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। কারখানাগুলো পরিদর্শনের পর উপযোগী অস্ত্রটি বেছে নেয়া হবে।
বাকি বাহিনীর চাহিদা পূরণের জন্য চার লাখ কালাশনিকভ রাইফেল আর ভারতের তৈরি আইএনএসএএস রাইফেল মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করতে চায় সেনাবাহিনী। দুই দশকের পুরনো আইএনএসএএস রাইফেলগুলো বদলে ফেলার প্রয়োজনেই সেনাবাহিনী নতুন রাইফেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। নব্বইয়ের দশকে এই রাইফেলগুলো সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়। রাষ্ট্রায়ত্ব অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি এই রাইফেলগুলো তৈরি করে।
খবর৭১/জি: